বার্তাবাংলা রিপোর্ট :: লন্ডনের রাস্তায় হরহামেশাই দেখা যায় ‘গোল্ডেন ম্যান’ নামে খ্যাত পলকে। দৈনিক আট ঘণ্টা এবং সপ্তাহে মোট পাঁচদিন রাস্তায় দাড়িয়ে মানুষকে বিনোদন দেন তিনি। কিন্তু কি করে তিনি মানুষকে বিনোদিত করেন, এই প্রশ্ন আসতেই পারে। জীবন্ত ভাষ্কর্য হয়ে মানুষকে আনন্দ দেয়া যেমন পলের কাছে নেশা, তেমনি ভাষ্কর্যের মত একটি শিল্পকে লন্ডনের ব্যস্ত রাস্তায় এনে তা থেকে পয়সা উপার্জন করাও তার কাছে সমান চ্যালেঞ্জের। তবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রায়ই আঘাতপ্রাপ্ত হতে হয় পলকে।
রাস্তার মানুষ কখনও ঠায় দাড়িয়ে থাকা পলকে চিমটি কেটে দেখে, আবার কখনও বেদম এক ঘুষি দিয়ে দেখতে চায় সত্যিই জীবন্ত কিনা। এমনও হয়েছে যে দর্শনার্থীর ঘুষি খেয়ে টানা কয়েকদিন হাসপাতালেও ছিলেন তিনি। তারপরেও শিল্পী পল দর্শনার্থীর ঘুষি অথবা লাথিকেই তার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে নিচ্ছেন। তবে পলের ভাষায় আকাশের কবুতরও কখনও কখনও তার শরীরে বসে মলমূত্র ত্যাগ করেছে এমন নজিরও আছে।
‘এরকম দুবার ঘটেছে। আর প্রায়ই কুকুর এসে আমার শরীরে মূত্র ত্যাগ করে। এটা আমার কাছে অনেকটাই প্রশংসাসূচক। সত্যিই যে আমি ভালো করছি এটা তারই প্রমাণ।’
লন্ডন শহরে পলের মতো আরও অনেকেই আছেন যারা ভাষ্কর্যের জড় অবস্থাকে ভেঙ্গে জীবন্ত ভাষ্কর্য হিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করতে চাইছে। কিন্তু অন্য সবার চেয়ে পলই অধিক জনপ্রিয়। এর অবশ্য কারণও আছে। অন্যদের তুলনায় পল অনেক বেশি বৈচিত্র্যময় এবং করিৎকর্মা। তা না হলে কি আর পলকে রাস্তায় দাড়িয়ে ঘুষি খেতে হয়।
কিন্তু পল যে শুধু দর্শনার্থীদের ঘুষিই খায় ব্যাপারটা মোটেও তা নয়। কিছু কিছু সময় পল দর্শনার্থীদের ভড়কে দিয়েও বিপুল করতালি অর্জন করে নেয়। কখনও পল ঠায় দাড়িয়ে থেকে তার মুখ থেকে অদ্ভুত শব্দ করতে থাকেন। আর এসময় যদি কেউ তার মুখের সামনে দাড়িয়ে দেখার চেষ্টা করে, তখনই পল বিকট শব্দ করে ভড়কে দেয় দর্শনার্থীকে। গত ১৬ বছর ধরেই পল একাজ করে আসছে নির্দিধায়।