বার্তাবাংলা রিপোর্ট :: একটি দুটি নয়, আট হাত-পা বিশিষ্ট এক অদ্ভুত রকমের শিশু জন্মগ্রহণ করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বারুইপুর শহরে। স্থানীয়রা এ শিশুটিকে ‘ঈশ্বরের পুনর্জন্ম’ বলে মনে করছেন। শিশুটির নাম রাখা হয়েছে ‘ঈশ্বর শিশু’। বহু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গবিশিষ্ট শিশুর জন্ম দেশটির হিন্দু উপাসকদের কাছে সাধারণ একটি বিষয়। কারণ হিন্দু দেবতাদের অনেকে অতিরিক্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়ে পৃথিবীতে আবির্ভাব হয়েছিলেন।
তাই বিস্ময়কর শিশুটির আশীর্বাদ পেতে পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় অজ্ঞাত ওই হাসপাতালের পানে ছুটে চলছেন হাজারো লোক। এমনকি শিশুটির সাক্ষাৎ পেতে সেখানকার রাস্তায় রাত্রিযাপন করছেন হাজারো মানুষ।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, বহু লোকের সমাগম হওয়ায় তাদের নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে তারা। শিশুটিকে দেখতে ও তার আশীর্বাদ পেতে হাসপাতালের ভেতর ঢুকতে হাজারো মানুষ রাত-দিন রাস্তায় অপেক্ষা করছে। চেঁচামেচি ও তার জন্য আর্তনাদ করছেন অনেকে।
শিশুটি জন্মগতভাবে চারটি হাত ও চারটি পা নিয়ে ত্রুটিপূর্ণভাবে জন্মগ্রহণ করে চলতি সপ্তাহেই। তবে নির্দিষ্ট দিনের কথা এখানে উল্লেখ করা হয়নি। চিকিৎসকদের ধারণা, দুটি যমজ শিশু জোড়া লেগে থাকার কারণে এভাবে জন্ম নিয়েছে সে।
তবে ত্রুটিপূর্ণভাবে শিশুটি জন্ম নেওয়ারও পরও বেজায় খুশি তার বাবা-মা। তার ছেলেকে আটটি হাত-পা বিশিষ্ট হিন্দু দেবতা ব্রহ্মা পুনর্জন্ম বলে মনে করছেন তারা। যদিও শিশুটির বাবা-মায়ের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
শিশুটির এক অজ্ঞাত আত্মীয় স্থানীয় এক টিভি চ্যানেলকে বলেন, ‘যখন আমরা বিষয়টি শুনলাম, তখন বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। নার্সরা তাকে ত্রুটিপূর্ণ শিশু বললেও আমি তাকে ঈশ্বরের পুনর্জন্ম বলে মনে করছি। প্রকৃত অর্থে এটা একটি অলৌকিক ঘটনা। সে ঈশ্বরের শিশু। তা ছাড়া, ভারতের হিন্দু দেবতার অনেকের অতিরিক্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ছিল।’
গ্রামের প্রতিবেশী চুক্কা রাও (৬৭) বলেন, ‘যখন আমি ঈশ্বর শিশুর কথা শুনলাম, তখন আমার সামান্য সন্দেহ হলো। আমি আমার বিভিন্ন বন্ধু ও প্রতিবেশীদের মুখের কথা বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। তাই নিজ চোখে আশ্চর্যের মতো বিষয়টি দেখে এলাম। আমি শিশুটিকে দেখে সত্যিই অবাক হয়েছি। এটি বিস্ময়কর।’
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয়রা ঈশ্বরের বিশেষ দূত ভেবে হাজারো লোক সেখানে উপস্থিত হয়েছেন। তাকে দেখার জন্য উচ্চ স্বরে চেঁচামেচি করছেন তারা। হাজারো মানুষ রাস্তার পাশে অস্থায়ী তাঁবু টানিয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী তাদের নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে।