বার্তাবাংলা ডেস্ক :: নারীর খৎনা বা নারী লিঙ্গচ্ছেদ একটি ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এর মাধ্যমে নারীর যৌন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ছেঁটে ফেলা হয় অথবা ক্ষত সৃষ্টি করা হয়। এর চর্চা সারা পৃথিবীতেই আছে, তবে প্রধানত আফ্রিকা ও ইন্দোনেশিয়াতেই বেশি।
গত কয়েক দশক ধরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ছাড়াও বহু স্বাস্থ্য সংস্থা এর চর্চা বন্ধ করতে চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছে। যদিও ঐতিহ্য ও ধর্মীয় জীবনের প্রয়োজনে এটির চর্চা এখনো অনেক সমাজে রয়ে গেছে।
জাতিসংঘ বিশ্ব জনসংখ্যা তহবিল (UNFPA) ৬ ফেব্রুয়ারিকে আর্ন্তজাতিক নারী যৌনাঙ্গ বিকৃতকরণ বিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে।
সম্প্রতি কেনিয়ার প্রত্যন্ত এলাকার পকোত আদিবাসী কিশোরীদের এমন লিঙ্গচ্ছেদ অনুষ্ঠানের ধারাবাহিক ছবি ধারণ করেছেন আলোকচিত্রী সিগফ্রেড মডোলা। এসব ছবিতে চার কিশোরীর লিঙ্গচ্ছেদের আনুষ্ঠানিকতা নিখুঁতভাবে উঠে এসেছে।
অবশ্য কেনিয়াতে তিন বছর আগেই এ ধরনের খৎনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু অনেক আদিবাসী গোষ্ঠী এখনো এটি বিয়ের প্রধান শর্ত হিসেবে মেনে চলে।