বার্তাবাংলা ডেস্ক :: বিজ্ঞানীরা অনেক আগেই প্রমাণ করে দিয়েছেন নিয়ানডার্থালের সঙ্গে বর্তমান মানুষের সম্পর্ক। আজকের মানুষ যে নিয়ানডার্থালেরই বংশধর তা আর আজ অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু সময়ের কোন সন্ধিক্ষণে নিয়ানডার্থালদের সঙ্গে মানুষ শারিরীক সম্পর্ক শুরু করেছিল তা মোটামুটি এখনও অজানা। আর সেই অজানা বিষয়টিকে নতুন করে আলোচনায় এনেছেন জার্মানির কয়েকজন বিশেষজ্ঞ গবেষক।
জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনিস্টিটিউটের নৃতত্ত্ব বিভাগ নিয়ানডার্থালদের সঙ্গে মানব সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে। গবেষণার জন্য বিশেষজ্ঞরা ৪৫ হাজার বছর পুরনো বামনাকৃতির একটি পুরুষ মানবের শরীর ব্যবহার করছেন। এই পুরুষটির শরীর ২০০৮ সালে পশ্চিম সাইবেরিয়ার উস্ত-ইশিম নামক গ্রামের একটি নির্দিষ্ট স্থানের মাটির তলা থেকে উত্তোলন করা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা এই মানব শরীরটিকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখছেন সম্ভাব্য নিয়ানডার্থাল ও মানুষের যৌন মিলন বিষয়টিকে।
গবেষক দলের প্রধান ড. জ্যানেট কেসলো জানান, ‘উস্ত-ইশিম থেকে পাওয়া মানব শরীরটি আমাদের গবেষণার নতুন দ্বার উন্মোচন করে দিয়েছে। কারণ এই মানব শরীরটি এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত প্রাচীন পুরুষ মানব হলেও এর শরীরে নিয়ানডার্থালের আকৃতি এবং বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। আর এই আবিষ্কার আমাদের নতুন করে ভাবতে শেখাবে মধ্যপ্রাচ্য কিংবা আফ্রিকায় প্রাণের বিকাশ সম্পর্কে।’
এর আগে বেশকিছু গবেষক দাবি করেছিলেন যে ৩৭ হাজার থেকে ৮৬ হাজার বছরের মাঝামাঝি কোনো এক সময়ে নিয়ানডার্থালের সঙ্গে মানব শরীরের প্রথম মিলন হয়। শুধু তাই নয় আরও একদল গবেষকের দাবি যে প্রায় এক লাখ বছর আগেই ওই ঘটনা ঘটেছিল।
জার্মান গবেষক দল আরও দাবি করেন, উস্ত-ইশমি গ্রাম থেকে প্রাপ্ত মানব শরীরটি থেকে যে ডিএনএ পাওয়া যায় তা বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে বর্তমান সময়ের এশিয়া এবং প্রাচীন ইউরোপবাসীর ডিএনএ’র সঙ্গে এর অনেক মিল আছে। সাইবেরিয়ায় প্রাপ্ত ডিএনএ’র সঙ্গে আফ্রিকার বর্তমান মানুষের ডিএনএ’র কোনো মিল নেই। আফ্রিকার বাইরেও প্রাণের বিকাশ ঘটেছিল এটা তার প্রমাণ।