বার্তাবাংলা রিপোর্ট :: প্রাকৃতিক উপাদানের মধ্যে পাথর অন্যতম। মানবসভ্যতার শুরুর দিককার এক যুগকে বলা হতো প্রস্তর যুগ। যখন মানুষ পাথরের হাতিয়ার ব্যবহার করতে শেখে এবং জীবনযাপনের সঙ্গে পাথরকে প্রধান অনুষঙ্গ হিসেবে গ্রহন করে। বর্তমান প্রযুক্তির এই দুনিয়ায় আমরা আমাদের পূর্ব পুরুষের অনেক নির্দশন দেখতে পাই জাদুঘরে। বড় পাথরখণ্ড থেকে শুরু করে খুব ছোটো পাথরের মুর্তিও দেখার বিষয় মানুষের কাছে। কিন্তু সম্প্রতি জাপানের কায়ুসু জাতীয় জাদুঘরে এক খন্ড মাংস পাথর প্রদর্শিত হয়েছে জনসাধারণের জন্য।
প্রদর্শনীর শুরুর দিন প্রায় ৮৪ হাজার মানুষ এই মাংস পাথর দেখার জন্য এসেছিল। এছাড়াও প্রতিদিন গড়ে ছয় হাজার দর্শনার্থী এই অদ্ভুত পাথরটি দেখার জন্য আসে। এর আগে টোকিওতে এই মাংস পাথরটি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে প্রতিদিন পড়ে ২১ হাজার মানুষ ভিড় করেছিল মাংস পাথরটিকে দেখার জন্য।
তাইওয়ানের জাতীয় রাজপ্রাসাদ জাদুঘরের মতে, এই পাথর খণ্ডিটি তাইওয়ানের সবচেয়ে মূল্যবান প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদের মধ্যে একটি। মাংস পাথরটি মূলত একটি বড় জ্যাসপার(হলুদ রংয়ের বিশেষ পাথর) পাথরের অংশবিশেষ। প্রাকৃতিক জ্যাসপার পাথরকে কেটে এমন আকার দেয়া হয়েছে যা দেখলে সহজেই একে একতাল মাংস হিসেবে মনে হয়।
চীনের কুইং রাজবংশের আমলে এমন অনেক অদ্ভুত জিনিস তৈরি করা হয়েছিল রাজপ্রাসাদের পৃষ্ঠপোষকতায়। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পাথরের বাধাকপি, মুলো ইত্যাদি। তৎকালীন সময়ে উন্নত পাথুরে কারিগরেরা বছরের পর বছর ধরে ধৈর্য্যের সঙ্গে এই দর্শনীয় বস্তুগুলোকে তৈরি করেছিলেন। পরবর্তীতে চীনে মাঞ্চু রাজবংশের সময়ে বিদেশি আধিপত্য এবং আভ্যন্তরীন সংঘাতে অনেক মূল্যবান সম্পদ বিদেশে পাচার হয়ে যায়। এই পাচার হয়ে যাওয়া সম্পদের মধ্যে যেমন আছে মাংস পাথর, তেমনি আছে জেড পাথরের তৈরি ধ্যানী বুদ্ধ।