বার্তাবাংলা ডেস্ক :: বাংলাদেশ সোসাইটি ইন নিউ ইয়র্ক-এর আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ‘কামাল-সানি’ পরিষদের প্রথম নির্বাচনী সভায় বক্তারা ‘গডফাদার মুক্ত বাংলাদেশ সোসাইটি’র প্রত্যাশায় ‘কামাল-সানি’ প্যানেলের প্রার্থীদের নির্বাচিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, ‘কামাল আহমেদের নেতৃত্বে গত দুই বছরের কার্যক্রমে সোসাইটির দরজা সবার জন্য খুলতে শুরু করেছে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে কামাল-সানি পরিষদকে বিজয়ী করার বিকল্প নেই।’ বক্তারা আরো বলেন, ‘সোসাইটির সভাপতি হিসেবে কামাল আহমেদ তার কর্মকা- দিয়ে নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করেছেন। তিনি সৎ, দায়িত্বশীল, পরোপকারী মানুষ। তিনি আবার নির্বাচিত হলে সোসাইটিতে কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হবে, সোসাইটি উন্মুক্ত হবে সব প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য। নিউ ইয়র্কের সিটির এস্টোরিয়াস্থ সুন্দরবন রেস্টেুরেন্টে গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে অনুষ্ঠিত ‘কামাল-সানি’ প্যানেলের নির্বাচনী সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্রস্থ বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতির প্রাক্তন উপদেষ্টা আজিজুর রহমান পাখি। সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ হোসেন খান, আলী ইমাম শিকদার ও সোসাইটির প্রাক্তন কোষাধ্যক্ষ নিশান রহীম। সভায় ‘কামাল-সানি‘ পরিষদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সউদ চৌধুরী, এম এ কাইয়ুম ও রশীদ আহমদ, ডা. খন্দকার মাসুদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল করিম, সিলেট এমসি কলেজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুফিয়ান খান, মূলধারার রাজনীতিক আব্দুস শহীদ, বিশিষ্ট রাজনীতিক সাইফুল ইসলাম রহীম ও শাহীন আজমল, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য আব্দুল হাসিম হাসনু, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট শেখ সিরাজুল ইসলাম, কমিউনিটি নেতা সামসুদ্দিন, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সভাপতি আতাহারুল আলম, মাদারীপুর জেলা সমিতির সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ, বৃহত্তর কুমিল্লা সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ দুলাল, নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম লিটন, সোসাইটির প্রাক্তন সাহিত্য সম্পাদক খান শওকত, প্রাক্তন ছাত্রনেতা গোলাম মর্তুজা, যুবনেতা জামাল হোসেন, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট ইউসুফ সরকার ও দরুদ মিয়া রনেল। সভায় কামাল আহমেদসহ সোসাইটির বর্তমান কমিটির কর্মকর্তাদের মধ্যে সহসভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদী মিন্টু, ক্রীড়া ও আপ্যায়ন সম্পাদক সৈয়দ এনায়েত আলী, কার্যকরী পরিষদ সদস্য ফারহানা চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভা পরিচালনা করেন সোসাইটির সহসাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ সোহাগ। সভায় কামাল আহমেদ বলেন, ‘সোসাইটির বিগত নির্বাচনে বিজয়ী কামাল-রহীম পরিষদের সবাইকে নিয়েই আমি পুনরায় নির্বাচন করতে চেয়েছি। আমি আমার কথা রাখতে চেয়েছি, কিন্তু সাধারণ সম্পাদক রহীম হাওলাদার কথা রাখেননি।’ তিনি আরো বলেন, ‘সোসাইটির সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নেপথ্যে থেকে বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছি। আমরা সোসাইটিকে সবার জন্য উন্মুক্ত করতে চেষ্টা চালাচ্ছি। কামাল-সানি পরিষদ নির্বাচিত হলে আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি রাখতে পারবো।’ সভায় সোসাইটির কর্মকর্তারা বলেন, ‘আমরা কামাল-সানি পরিষদের সঙ্গে রয়েছি। কেননা, বিগত দুই বছরের কর্মকাণ্ডে সভাপতি হিসেবে কামাল আহমেদ প্রমাণ করেছেন তিনি সংগঠনের জন্য যোগ্য সভাপতি।’ তারা বলেন, ‘কতিপয় ব্যক্তির একগুয়েমির জন্য আমরা অনেক কাজ করতে পারিনি। তারা জঘন্য, দুষ্কৃতিকারী, ক্রিমিনাল। তারা ঘরের শত্রু বিভিষণ। তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। তারা অনেককে ভোটার হতেও দেয়নি। তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। আমরা গডফাদার মুক্ত সোসাইটি চাই।’ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ প্রবাসী আব্দুর রব দলা, কমিউনিটি নেতা আব্দুল বাছির খান, কামাল হোসেন, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ওয়াহিদ কাজী এলিন, বাংলাদেশ সোসাইটির সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী তোফায়েল ইসলাম, কার্যকরী পরিষদ সদস্য সৈয়দ ইলিয়াস খসরু, সোসাইটির প্রাক্তন কর্মকর্তা জাকির আহমেদ ও ইকবাল হায়দার, বিশ্বনাথ সোসাইটির সভাপতি মখন মিয়া প্রমুখ। উল্লেখ্য, ‘আমরা নিষ্ঠা, সততা, ঐক্যে বিশ্বাস’ এই স্লোগান নিয়ে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ‘কামাল-সানি’ পরিষদ। পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জে মোল্লা সানি ব্যক্তিগত জরুরি কাজে নিউ ইয়র্কের বাইরে থাকায় সভায় যোগ দিতে পারেননি।
মন্তব্য যুক্ত করুন