বার্তাবাংলা ডেস্ক::মুসলিম উম্মার নিকট শবে কদরের গুরুত্ব ও ফজিলত অত্যধিক—পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে বৃহস্পতিআবার এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এ কথা বলেন। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দিনটি উপলক্ষে সিয়াম সাধনার মাস রমজানের এক মহিমান্বিত রাত ’লাইলাতুল কদর বলে আখ্যায়িত করেন।
একই সঙ্গে আগামীকাল (শুক্রবার) ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা জুমাতুল বিদা পালন করবেন।
রাষ্ট্রপতি মহিমান্বিত রজনি পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘হাজার মাসের চেয়েও উত্তম’ পবিত্র লাইলাতুল কদর সমগ্র মানবজাতির জন্য অত্যন্ত বরকতময় ও পুণ্যময় রজনি। মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ আল-কোরআন লাইলাতুল কদরে নাজিল হয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি কদর রাতে কোররান নাজিল করেছি’।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমাদের ক্ষণস্থায়ী জীবনে হাজার মাসের চেয়েও বেশি ইবাদতের নেকি লাভের সুযোগ এনে দেয় এই রাত। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র লাইলাতুল কদরে তাঁর অশেষ রহমত ও বরকত দ্বারা সকলের জীবনকে পরিপূর্ণ করে দেন- এই দোয়া করি।’
পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ রাতে মানবজাতির পথনির্দেশক পবিত্র কোররান পৃথিবীতে নাজিল হয়। আর পবিত্র কোররানের শিক্ষা আমাদের পার্থিব সুখশান্তির পাশাপাশি আখিরাতের মুক্তির পথ দেখায়।
তিনি এ উপলক্ষে দেশবাসী এবং বিশ্বের সকল মুসলমানকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে বলেন, ‘পবিত্র এই রাতে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তাঁর অসীম রহমত, বরকত ও মাগফেরাত।’
শেখ হাসিনা বলেন, পবিত্র এই রজনিতে আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম জাহানের উত্তরোত্তর উন্নতি, অব্যাহত শান্তি ও কল্যাণ কামনা করছি।