মো. মোসাদ্দেক হোসেন সাইফুল, বাহরাইন :: বাহরাইনের রাজধানী মানামায় অগ্নিকান্ডে নিহত তিন বাংলাদেশীর নিহতের ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশের পর বাংলাদেশ সরকার ও বাহরাইনস্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের সার্বিক সহযোগীতায় অতিদ্রুত নিহতদের মৃতদেহ বাংলাদেশে প্রেরনের উদ্যোগ গ্রহন করা হয় । আজ বিকালে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে নিহতদের মৃতদেহ দেশে প্রেরন করা হয় বলে দূতাবাস সূত্রে জানা যায়। দুর্ঘটনার পরপরই এনটিভির বাহরাইন প্রতিনিধি সৈয়দ মামুন হোসেন,বাংলাভিশন প্রতিনিধি আব্দুল কাদের,আরটিভি প্রতিনিধি মেজবাহ,একুশেটিভি প্রতিনিধি নজির আহমেদ,দেশবিদেশ অনলাইন প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম আঁকন ও বার্তাবাংলা প্রতিনিধি সাইফুল সহ বাহরাইনের সকল প্রবাসী কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ বাহরাইনস্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করেন এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর (শ্রম) মহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের আপডেট তথ্য দিয়ে সার্বিক সহযোগীতা করেন । উল্লেখ্য, গত ২৮ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার স্হানীয় সময় প্রায় রাত আড়াইটার পর বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে একই কক্ষের তিন প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকের ধোঁয়ায় দম শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় । নিহতরা হলেন মোশাররফ হোসেন(৩২),পিতা-নাজির আহাম্মদ,গ্রাম-রামপুর,থানা-বুড়িচং,জেলা-কুমিল্লা, জালাল উদ্দিন(৩০),পিতা-গফুর মিয়া ,গ্রাম-রামপুর,থানা- বুড়িচং,জেলা-কুমিল্লা,দুলাল মিয়া (৩০),পিতা-সিদ্দিক ,গ্রাম-জিয়া পুর,থানা- বুড়িচং,জেলা-কুমিল্লা।এর আগে গত বছর জানুয়ারিতে মানামার ওই এলাকাতেই একটি ভবনে আগুন লেগে ১৩ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। ২০১২ সালের ২৭ মে মানামা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে এক বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডে ১০ বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত হয়েছিলেন। ২০০৬ সালে একই ধরনের ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন ১৬ শ্রমিক।
মন্তব্য যুক্ত করুন