বার্তাবাংলা রিপোর্ট :: ৯১ বছর বয়সী এক নারী মারা যাওয়ার পর তার মরদেহ মর্গের হিমঘরে রাখা হয়েছিল। এদিকে পরিবারের সদস্যরা তার সৎকারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
কিন্তু হিমঘরে ১১ ঘণ্টা থাকার পর হঠাৎ জেগে ওঠে নিজ পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরলেন ওই নারী। তাকে জীবিত দেখে পরিবারের সবার চোখ তো একেবারে ছানাবড়া। তারা বিশ্বাসই করতে পারছে না তিনি জীবিত!
অবশেষে তিনি যে জীবিত তা বুঝতে পেরে তার শরীর গরম করতে স্যুপ ও ডিমের বড়া খেতে দেওয়া হলো। নেওয়া হলো নানা যত্নআত্তি। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এ ঘটনা ঘটেছে পোল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় শহর অস্ট্রো লুবেলস্কিতে।
দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পারিবারিক চিকিৎসকের পরীক্ষার পর জেনিনা কোলকইজকেজ নামের ওই নারীর মৃত্যু ঘোষণা করা হয়। এমনকি মর্গের কর্মচারী মর্গের হিমঘরের একটি ব্যাগে মোড়ানো অবস্থায় রাখা ওই নারীর চিৎকার চেঁচামেচি শুনে বিস্মিত হয়ে যান। এ সময় ওই নারী হাঁটবেন বা তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য উচ্চস্বরের নোটিসও করতে থাকেন।
পোলিশ সংবাদপত্রকে তার পরিবার ও পারিবারিক চিকিৎসক জানান, তারা বিস্মিত। ওই নারীর এক ভাইপো জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তার চাচীর হৃদস্পন্দন ও শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। এরপর চিকিৎসক এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত্যু সার্টিফিকেটও লেখা শেষ করেন তিনি। দুইদিন সময় নিতে তার মরদেহ পাশের একটি মর্গের হিমঘরে রাখা হয়।
চিকিৎসক উইয়েলসা ক্র্যাজি এক টিভি চ্যানেলকে বলেন, আমি নিশ্চিত তিনি মারা গিয়েছিলেন। কিন্তু যখন শুনলাম তিনি বেঁচে ফিরেছেন, তখন আমি তো হতবাক। আমি বুঝতে পারছি না, আসলে কী ঘটেছে। তার হৃদস্পন্দন ও শ্বাস-প্রশ্বাস একেবারেই ছিল না। পরে অবশ্যও চিকিৎসক তার মৃত্যু সার্টিফিকেট প্রত্যাহার করে নেন।