বার্তাবাংলা রিপোর্ট :: গৃহপরিচারিকার কাজের জন্য ওমানে স্ত্রীকে পাঠিয়ে এখন চোখে অন্ধকার দেখছে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার কদমতলী গ্রামের আব্বাস আলী। ওমান থেকে স্ত্রী তাকে মুঠোফোনে জানাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি এখন যৌনপল্লিতে নিদারণ কষ্টভোগ করছেন। তাই তাকে দ্রুত উদ্ধারসহ বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিতে স্বামীর কাছে কান্নাকাটি করে আকুতি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় আব্বাস আলী বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের কাছে স্ত্রীর ছবি দেখিয়ে ঘটনার বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি জানান, অভাব-অনটনের সংসারে সচ্ছলতা আনতে নিজের শেষ সম্বল জমি বিক্রি করেন তিনি। সেই টাকায় ঢাকার ১৩২ ডিআইটি এক্সেটেনশন রোডের বকশি হোটেল নিচ তলার মো. আল মাক-সিকদার মঈনের মাধ্যমে গৃহপরিচারিকার কাজের জন্য স্ত্রী লিপি বেগমকে চলতি বছরের ১ মার্চ ওমানে পাঠান। আব্বাস আলী আরো জানান, ওমানে যাওয়ার পর প্রায় ছয় মাস ধরে স্ত্রীর খোঁজখবর পাচ্ছিলেন না তিনি। যার মাধ্যমে স্ত্রীকে ওমান পাঠান, তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে টাঙ্গাইলের এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ওমানে থাকা তার এক আত্মীয়ের সঙ্গে আব্বাসের যোগাযোগ করিয়ে দেন। তার মাধ্যমে একটি যৌনপল্লিতে খুঁজে পাওয়া যায় লিপি বেগমকে। খদ্দের সেজে ওই আত্মীয় লিপির ঘরে ঢুকে চুপিসারে মুঠোফোনে আব্বাস আলীর সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন। তখনি লিপি তার স্বামীকে জানান, গৃহকর্মীর কাজ না দিয়ে তাকে জোরপূর্বক যৌনকর্মী বানানো হয়েছে। বাধা দিতে গিয়ে তিনি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাই তাকে উদ্ধারসহ দেশে ফিরিয়ে নিতে স্বামীর কাছে কান্নাকাটি করেন।
মন্তব্য যুক্ত করুন