বার্তাবাংলা রিপোর্ট :: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার উত্তর বাহাগিলি নয়ানখাল উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী আবদুল মান্নান বিনা বেতনে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে চাকরি করে আসছেন। ওই বিদ্যালয় সংলগ্ন আবদুল মান্নানের পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ২৭ শতাংশ জমি ছিল। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামিয়ার রহমান আবদুল মান্নানকে জানান জমিটি বিদ্যালয়ে দিলে তাকে বিদ্যালয়ে চাকরি দেয়া হবে। তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ১৯৯৭ সালে তার একমাত্র শেষ সম্বল জমিটি প্রধান শিক্ষকের কথা অনুযায়ী বিদ্যালয়ে দিয়ে ঝাড়ুদার পদে যোগদান করেন আবদুল মান্নান। কিন্তু স্ট্যাম্পিং প্যাটানের বহির্ভূত হওয়ায় তখন পদটি এমপিওভুক্ত হয়নি। এ কারণে সে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে বিনা বেতনে খেয়ে না খেয়ে বিদ্যালয়ে চাকরি করে আসছেন। পরবর্তীতে পদ শূন্য হলে তাকে আবারও নিয়োগ প্রদান এবং এমপিভুক্ত করার জন্য তার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা দাবি করেন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। কিন্তু তিনি টাকা দিতে না পারায় তাকে আজও নিয়োগ দেয়া হয়নি। আবদুল মান্নান জানান, জমি দেয়ার পর বিনা বেতনে দীর্ঘদিন চাকরি করার পর আবারও সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক তার কাছে তিন লাখ টাকা দাবি করছেন। তিনি জানান, এমনিতেই পরিবার পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছি তার ওপর এতো টাকা দেয়া তার পক্ষে অসম্ভব। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আতাউর রহমান শাহ দুলু জানান, আমার আগের কমিটি তাকে নিয়োগ দিয়েছে, তিনি বেতন পেল কি না-এর জন্য আমি দায়ী নই। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক জামিয়ার রহমান বলেন, বিদ্যালয়ে তার ১৮ শতক জমি রয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয়ভাবে শালিসের মাধ্যমে তার জমির জন্য ৮০ হাজার টাকা দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু তিনি মানেননি।
মন্তব্য যুক্ত করুন