
কিছু দিন ধরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জরিপে ফেসবুক থেকে গ্রাহকের সরে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এসব জরিপে বয়োবৃদ্ধদের আনাগোনা বৃদ্ধি পাওয়াকেই কিশোরদের সরে আসার অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। শুরু থেকেই ফেসবুক কিশোরদের দিকে ল রেখে সাইটটির বিভিন্ন সেবা প্রদান করে আসছে। ফেসবুকের ব্যাপক প্রসারের কারণে বর্তমানে অনেক অভিভাবকও সাইটটিতে সক্রিয় হচ্ছেন। অভিভাবকদের আনাগোনা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সন্তানেরা সাইটটি থেকে সরে যাচ্ছে।গার্ডিয়ান জরিপের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অন্য দিকে অভিভাবকদের আনাগোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় কিশোরেরাও আর সাইটটি ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে না। এ পরিস্থিতিতে ফেসবুক থেকে কিশোরদের সক্রিয়তা অনেকটাই হ্রাস পাচ্ছে। প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, ব্যাপক জনপ্রিয়তাই এখন সাইটটির কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে।গার্ডিয়ানের জরিপটিতে জড়িত ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ম্যাটারিয়াল কালচার বিভাগের অধ্যাপক ড্যানিয়েল মিলার বলেন, কিশোরদের কাছে ফেসবুকের এখন কোনো অস্তিত্বই নেই। তারা এখন সাইটটি থেকে একেবারেই সরে যাচ্ছে। অল্প যারা এখনো রয়েছে তারাও সাইটটি থেকে সরে আসার পরিকল্পনা করছে।
ফেসবুকের বিপরীতে টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো সাইটগুলো কিশোরদের ধরে রাখতে অনেক নতুন নতুন সেবা চালু করছে। এ সাইটগুলোর জনপ্রিয়তা ফেসবুকের চেয়ে কিছুটা কম থাকায় অভিভাবকেরাও এখন এ ধরনের সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোয় সেভাবে সক্রিয় নন। মিলার বলেন, সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোয় কিশোরেরা তাদের বন্ধুদের নিয়ে মেতে থাকতেই বেশি পছন্দ করে; কিন্তু ফেসবুকে থাকলে বেশির ভাগ কিশোরদের অভিভাবকেরাও তাদের বন্ধু হওয়ার আহ্বান জানান। কিশোরেরা সব সময় নতুন কিছু বেছে নিতে পছন্দ করে। পাশাপাশি এ বয়সের গ্রাহকেরা সাধারণত স্টাইলিশ ও ফ্যাশনসচেতন হয়ে থাকে; কিন্তু ফেসবুক তাদের কাছে এখন আর কোনোভাবেই স্টাইলিশ সাইট নেই। বিশ্লেষকদের মতে, কিশোরদের ধরে রাখার প্রতিযোগিতায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে ফেসবুক।