বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত এবং প্রাচীনতম কার্নিভালগুলির একটি ভেনিসের কার্নিভাল। প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ এই সময়টায় ভেনিসে যান। স্থানীয়রা বিষয়টি কীভাবে দেখেন? তারা ঐ সময় কী করেন?

প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ ভেনিসে ঘুরতে যান। কার্নিভালের সময়ও অনেক মানুষের সেখানে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই তখন ভেনিসে চলাফেরা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে আরো বেশি চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।
ভেনিসে জন্মগ্রহণ করা আনা ওহালোরান বলেন, সময় যে জিনিসটা জানা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো, কীভাবে চলাচল করতে হবে। জনাকীর্ণ স্থান এড়াতে আমি সাধারণত যা করি তা হলো, পিছনের রাস্তাগুলি নেয়া, যেখানে ভিড় অনেক কম থাকে।
ভেনিসের কার্নিভাল বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত এবং প্রাচীনতম কার্নিভালগুলির একটি। একাদশ শতকে এটি শুরু হলেও ১৮ শতকের আগে এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। ঐতিহাসিকভাবে এটি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের একত্রিত হওয়ার একটি উপায় ছিল। আজ এটি একটি জমকালো উদযাপন, যার মধ্যে আছে রঙিন কুচকাওয়াজ, সংগীত আর প্রচুর পোশাক ও মুখোশ।
আনা বলেন, মানুষ যখন মুখোশ পরে, তখন তিনি ধনী, নাকি গরিব, তা বলা যায় না। অর্থাৎ মুখোশের কারণে সবাইকে সমান মনে হয়। আর এটাই এটার সৌন্দর্য। কার্নিভাল বা পর্যটন মৌসুমের সময় কিছু স্থানীয় বাসিন্দা ভিড় এড়াতে লেগুন ছেড়ে চলে যান। কিন্তু যখন আনা থাকেন তখন তিনি সাধারণত ভেনিসের পশ্চিমে ক্যাম্পো দেই টোলেন্টিনিতে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেন।
কার্নিভালের সময় প্রধান চত্বর, ভবন আর খালগুলিতে কয়েক ডজন অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকে। তাই আনা আর তার বন্ধুরা আরও দূরের খালগুলিতে যেতে পছন্দ করে।
ক্যাম্পো সান্তা মার্গারিটা শিক্ষার্থীদের এলাকা হিসেবে পরিচিত। সেখানে অনেক তরুণ-তরুণী কাজকিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর আড্ডা দেন।
ভেনিসে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমার কাছে কার্নিভাল, ভেনিসের একটি আইকনিক অনুষ্ঠান। তবে একজন ভেনিসিয়ান হিসেবে এটি উপভোগ করা একটু কঠিন, কারণ, এই সময়টায় প্রচুর মানুষ থাকে। আর সরু রাস্তা দিয়ে হাঁটা খুব কঠিন। তাই ভেনিসিয়ানরা কার্নিভালের সময় নিজেদের কিছুটা আলাদা করে রাখেন।
আরেক বাসিন্দা বলেন, আমি রিয়ালটোর কাছে থাকি, এবং মাঝেমধ্যে আমার বাড়ির বাইরে অনেক লোক থাকায় আমি বাড়ি থেকে বের হতে পারি না।
সূত্র: ডয়চে ভেলে