বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ, যা তার প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য, নদীমাতৃক সভ্যতা এবং উর্বর ভূমির জন্য পরিচিত। তবে, বাংলাদেশের এই বৈশিষ্ট্যগুলোই তাকে জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক ঝুঁকির মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। উপকূলীয় এলাকাগুলো বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততার প্রভাব এবং মিঠা পানির সংকটের কারণে এই অঞ্চলে মানুষের জীবনযাত্রা বিপন্ন হয়ে পড়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বাস করা মানুষগুলো ক্রমশ উদ্বাস্তু হয়ে পড়ছে। তারা তাদের বসতি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। এই প্রবন্ধে আমরা বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, উপকূলীয় এলাকার মানুষের উদ্বাস্তু হওয়ার কারণ, এবং এই সংকট মোকাবেলায় গৃহীত পদক্ষেপ ও প্রয়োজনীয় নীতিমালা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার ভূগোল এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব
বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত এবং এটির মোট উপকূলীয় দৈর্ঘ্য প্রায় ৭০০ কিলোমিটার। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৮ শতাংশ উপকূলীয় অঞ্চলে বাস করে, যা প্রায় ৫০ মিলিয়ন মানুষ। এই এলাকাগুলো কৃষি, মৎস্য এবং ছোটখাট ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল। তবে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই অর্থনৈতিক কার্যক্রমগুলো মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে।
১. সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি। জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তঃসরকার প্যানেলের (IPCC) রিপোর্ট অনুযায়ী, ২১শতকের শেষে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১ মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাগুলির বেশিরভাগই সমুদ্রপৃষ্ঠের মাত্র কয়েক মিটার উপরে অবস্থিত। তাই, সামান্য উচ্চতা বৃদ্ধিই বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে ভূমি ধসে যাচ্ছে, যা কৃষিজমি, বসতবাড়ি এবং অন্যান্য অবকাঠামোর ক্ষতি করছে। এর ফলে, মানুষ তাদের জীবিকা হারিয়ে অন্যত্র স্থানান্তরিত হতে বাধ্য হচ্ছে। এছাড়াও, সমুদ্রের পানির লবণাক্ততা বৃদ্ধি পেয়ে মাটির উর্বরতা কমিয়ে দিচ্ছে, যা কৃষি উৎপাদনকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে।
২. ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা ও সংখ্যা বৃদ্ধি
বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাগুলো প্রায়ই ঘূর্ণিঝড়ের সম্মুখীন হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা এবং সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েক দশকে বাংলাদেশে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়গুলির মধ্যে অন্যতম ভয়াবহ ছিল ১৯৭০ সালের ভোলা ঘূর্ণিঝড়, যা প্রায় ৩ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতেও সিডর (২০০৭), আইলা (২০০৯), এবং আম্পান (২০২০) এর মতো শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ব্যাপক ক্ষতি করেছে।
ঘূর্ণিঝড়ের ফলে মানুষের বসতি এবং অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। অনেক মানুষ তাদের ঘরবাড়ি হারিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে। তাছাড়া, ঘূর্ণিঝড়ের পরবর্তী সময়ে পানিবাহিত রোগ, খাদ্য ও পানি সংকট এবং আর্থিক অনিশ্চয়তা মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে, উপকূলীয় এলাকার মানুষ জীবিকার সন্ধানে এবং নিজেদের বাঁচানোর জন্য অন্যত্র স্থানান্তরিত হতে বাধ্য হয়।
৩. লবণাক্ততা এবং মিঠা পানির সংকট
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে লবণাক্ততার সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি নদী এবং ভূগর্ভস্থ পানির উৎসগুলোতে প্রবেশ করছে। এর ফলে, কৃষি জমি এবং মিঠা পানির উত্সগুলির লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা কৃষি উৎপাদন এবং মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে।
লবণাক্ততার কারণে কৃষি জমি অনুর্বর হয়ে পড়ছে, ফলে ফসল উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। এটি স্থানীয় কৃষকদের জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ তারা তাদের জীবিকা হারিয়ে অন্যত্র কাজের সন্ধানে যেতে বাধ্য হচ্ছে। এছাড়াও, মিঠা পানির সংকটের কারণে উপকূলীয় এলাকার মানুষদের দৈনন্দিন পানি সরবরাহেও সমস্যা হচ্ছে। তারা নিরাপদ পানির অভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে, এবং স্থানান্তরের চাপে পড়ছে।
উদ্বাস্তু হওয়ার কারণ এবং পরিস্থিতি
উপকূলীয় এলাকার মানুষদের উদ্বাস্তু হওয়ার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, ঘূর্ণিঝড়, লবণাক্ততা এবং মিঠা পানির সংকট। এ ধরনের সংকটের কারণে মানুষ তাদের বাসস্থান, জীবিকা, এবং সামাজিক বন্ধন হারিয়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। বিশেষ করে, যেসব পরিবার শুধুমাত্র কৃষি বা মৎস্য নির্ভর জীবিকা চালায়, তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
১. অভ্যন্তরীণ স্থানান্তর এবং শহরে জনসংখ্যার চাপ
উপকূলীয় এলাকার মানুষেরা তাদের বাসস্থান হারিয়ে প্রধানত শহরাঞ্চলে স্থানান্তরিত হচ্ছে। ঢাকার মতো বড় শহরগুলোতে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের আগমন শহরের জনসংখ্যার ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে। এই অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে শহরগুলোতে বস্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যেখানে জীবনযাত্রার মান অত্যন্ত নিন্মমানের।
বস্তিতে বসবাসকারী জলবায়ু উদ্বাস্তুদের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, এবং মৌলিক নাগরিক সেবা পাওয়ার সুযোগ কম থাকে। তারা প্রায়শই সামাজিক এবং অর্থনৈতিক বৈষম্যের শিকার হয়। তাছাড়া, শহরগুলোতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত হওয়ায়, উদ্বাস্তুদের অনেকেই অস্থায়ী এবং অনিরাপদ কাজে নিয়োজিত হয়, যা তাদের জীবনের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়।
২. নারী ও শিশুদের বিশেষ ঝুঁকি
জলবায়ু উদ্বাস্তুদের মধ্যে নারী এবং শিশুদের ঝুঁকি বিশেষভাবে বেশি। ঘরবাড়ি হারানোর পর তারা নতুন স্থানে মানিয়ে নিতে সমস্যার সম্মুখীন হয়। নারী ও শিশুরা প্রায়শই নিরাপত্তাহীনতা, খাদ্য ও পানির অভাব, এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হয়। তাছাড়া, শহরাঞ্চলে এসে তারা মানব পাচার, যৌন সহিংসতা, এবং অন্যান্য সামাজিক অসুবিধার শিকার হতে পারে।
নারী ও শিশুদের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই চাহিদাগুলো পূরণ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সংকটের মধ্যে নারীরা বিশেষভাবে আর্থিক এবং সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার শিকার হচ্ছেন, যা তাদের জীবনযাত্রার মানের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
৩. সামাজিক বন্ধন এবং সাংস্কৃতিক ক্ষতি
উদ্বাস্তু হওয়ার ফলে সামাজিক বন্ধন এবং সাংস্কৃতিক ক্ষতিও একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপকূলীয় এলাকাগুলির মানুষ প্রায়শই তাদের জীবিকা, সংস্কৃতি, এবং সামাজিক বন্ধনকে কেন্দ্র করে জীবনযাপন করে। কিন্তু যখন তারা অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়, তখন এই সামাজিক বন্ধন এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হারিয়ে যায়। নতুন স্থানে তারা একধরনের সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং মানসিক চাপের সম্মুখীন হয়।
সাংস্কৃতিক ক্ষতি এবং সামাজিক বন্ধনের বিচ্ছিন্নতা উদ্বাস্তুদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব ফেলে। তারা নিজেদের অসহায় এবং বিচ্ছিন্ন মনে করে, যা তাদের জীবনের স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করে। এই পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি, কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই চাহিদা পূরণ করা বেশ কঠিন।
সংকট মোকাবেলায় পদক্ষেপ ও নীতিমালা
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাগুলিকে রক্ষা করতে এবং উদ্বাস্তু হওয়া মানুষের সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে, এই পদক্ষেপগুলো কার্যকর করতে এবং পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং নীতিমালা গ্রহণ করা অপরিহার্য।
১. বাঁধ নির্মাণ এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন
বাংলাদেশ সরকার উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বাঁধ নির্মাণ এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নতি করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই বাঁধগুলো উপকূলীয় এলাকার ভূমি রক্ষা করতে এবং লবণাক্ততা কমাতে সহায়ক হতে পারে। তবে, এই পদক্ষেপগুলো প্রায়শই অপর্যাপ্ত হয়ে থাকে, কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ক্রমশ বাড়ছে।
আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং বৈজ্ঞানিক পরিকল্পনার মাধ্যমে বাঁধ ও অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন করা প্রয়োজন। এছাড়াও, স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে এই ধরনের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা উচিত, যাতে তারা নিজেরাই তাদের এলাকা রক্ষা করতে সক্ষম হয়।
২. পুনর্বাসন এবং সুরক্ষার উদ্যোগ
জলবায়ু উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসন এবং সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং তহবিল প্রয়োজন। প্যারিস চুক্তি এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক পরিবেশ নীতিমালার মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য তহবিল এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। বাংলাদেশের জন্য এই তহবিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই তহবিলের মাধ্যমে স্থানীয় উন্নয়ন প্রকল্প এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা যাচ্ছে।
স্থানীয় পর্যায়ে পুনর্বাসন প্রকল্প এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করাও প্রয়োজন। উদাহরণস্বরূপ, উদ্বাস্তুদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় এবং জীবিকা প্রদানের উদ্যোগ নিতে হবে, যাতে তারা নতুন স্থানে মানিয়ে নিতে পারে এবং তাদের জীবিকা বজায় রাখতে পারে। এছাড়াও, স্থানীয় সরকার এবং এনজিওগুলোর সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে সামাজিক সহায়তা এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করা উচিত।
৩. স্থানীয় উদ্যোগ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় স্থানীয় জনগণের সচেতনতা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি। স্থানীয় জনগণকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করা এবং তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করা উচিত। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের এলাকা এবং জীবিকা রক্ষা করতে সক্ষম হবে।
উদাহরণস্বরূপ, উপকূলীয় এলাকাগুলিতে ভাসমান বাগান, মাচা চাষ, এবং স্থানীয়ভাবে উপযুক্ত কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার করে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া সম্ভব। এছাড়াও, স্থানীয় পর্যায়ে পানি সংরক্ষণ এবং মিঠা পানির উত্স সংরক্ষণে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা উচিত।
শেষ কথা
বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মারাত্মক এবং উদ্বাস্তু হওয়ার ঝুঁকি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সংকট মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। জনসচেতনতা বৃদ্ধি, স্থানীয় উদ্যোগ এবং উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করে আমরা এই বিপর্যয়ের মোকাবিলা করতে পারি।
তবে, এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলায় দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং সমন্বিত নীতি গ্রহণের মাধ্যমে শুধুমাত্র আমরা জলবায়ু উদ্বাস্তুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারি এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোর টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারব।
উপকূলীয় এলাকার এই সংকট মোকাবেলায় এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে আরো বড় বিপর্যয় থেকে আমরা বাঁচতে পারি। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সফল হতে পারে এবং তাতে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোর মানুষরা নিরাপদে তাদের জীবনযাত্রা বজায় রাখতে সক্ষম হবে।