আমীর হোসেন »

গতকাল মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) দুদকের উপ-পরিচালক সেলিনা আক্তার মণি এ বিষয়ে জানতে চেয়ে নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠি দেয়। অনুসন্ধানে সাবরিনার দুটি এনআইডি পেয়েছে দুদক, দুটি আইডি কীভাবে পেলো ইসির কাছে জানতে চেয়েছে দুদক। ডিবিসি টিভি ও যুগান্তর

পাশাপাশি জেকেজির করা ১৫ হাজার ভুয়া করোনার টেস্ট রিপোর্ট এর তথ্য পুলিশের কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে। ডক্টর সাবরিনা জেকেজি হেলথ কেয়ারের আসলেই চেয়ারম্যান কিনা সেটা জানতে নথিপত্র অনুসন্ধান করছে দুদক।

করোনাভাইরাস পরীক্ষার টেস্ট না করেই রিপোর্ট ডেলিভারি দেয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনা চৌধুরীকে ১২ জুলাই গ্রেফতার করা হয়। সরকারি চাকরিতে থাকা অবস্থায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেকেজির সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী একজন নাগরিক দুই এলাকায় ভোটার হওয়া ও দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র বহন করা অপরাধ। ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ অনুযায়ী ইচ্ছাকৃত মিথ্যা তথ্য বা ঘোষণা দিলে ওই ব্যক্তির ৬ মাস কারাদণ্ড, অনধিক দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান আছে। অসত্য তথ্য দেয়ায় নির্বাচন কমিশন চাইলে ডা. সাবরীনার বিরুদ্ধে মামলাও করার ক্ষমতা রাখে।

জানা গেছে, ডা. সাবরীনার দুটি জাতীয় পরিচয়পত্রের একটি হচ্ছে- ১৯৭৮২৬৯……০০৩৯ এবং অপরটি হচ্ছে- ১৯৮৩২৬৯……০১৩৬ (ব্যক্তিগত গোপনীয়তার স্বার্থে সবকটি ডিজিট প্রকাশ করা হল না)। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন তিনি। প্রথম ভোটার হওয়া জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নাম ‘সাবরীনা শারমিন হোসেন’ ও দ্বিতীয় জাতীয় পরিচয়পত্রে ‘সাবরীনা শারমিন হুসেন’ উল্লেখ করেছেন। তবে দুটিতেই ইংরেজি নাম একই রয়েছে। একটিতে বাবার নাম ‘সৈয়দ মুশাররফ হোসেন’ ও মায়ের নাম ‘কিশোয়ার জেসমীন’ উল্লেখ করেন। অপরটিতে মা-বাবার নাম পরিবর্তন করে ‘সৈয়দ মুশাররফ হসেন’ ও ‘জেসমিন হুসেন’ দিয়েছেন। একটিতে স্বামীর নাম ‘আর, এইচ, হক ও অপরটিতে আরিফুল চৌধুরী উল্লেখ করেছেন।

জন্মসাল ১৯৮৩ সালের সপক্ষে একটি জন্মসনদ নম্বরও জমা দেন ডা. সাবরীনা। জন্মসনদ নম্বরটি হচ্ছে- ১৯৮৩২৬৯২৫৩….৪১৭। দুটি জাতীয় পরিচয়পত্রে স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানাও পরিবর্তন করেন ডা. সাবরীনা।

একটিতে মোহাম্মদপুরের পিসিকালচার হাউজিং সোসাইটির ঠিকানায় ভোটার হন। ঢাকা উত্তর সিটির ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের এ ঠিকানাটিকে বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করেন জাতীয় পরিচয়পত্রে।

অপরটিতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাড্ডা এলাকার প্রগতি সরণির আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের ঠিকানায় ভোটার হন। এ জাতীয় পরিচয়পত্রে এ ঠিকানাটিকে বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করেন। একটি জাতীয় পরিচয়পত্রে তার শনাক্তকরণের কোনো চিহ্ন উল্লেখ করেননি। অপরটিতে ‘চিবুকে তিলক’ শনাক্তকরণ চিহ্ন হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »