টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে একটি রাস্তা পাকাকরণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিয়ম না মেনে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করায় পাকা করণের চার দিন পরে হাতের টানেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে।
এ ছাড়া সড়কের দুইপাশের এজিংয়ে দুই ফুট করে মাটি ভরাট করার কথা থাকলে তাও দেওয়া হচ্ছে না বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৯৪ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের হিলড়া থেকে বহনতলী পর্যন্ত এক কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকা করণের টেন্ডার আহ্বান করা হয়। সরকার কনস্ট্রাকশন নামে স্থানীয় একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচিত হন।
হাড়ভাঙা গ্রামের বাসিন্দা কুমুদিনী হাসপাতালের ইলেকট্রিশিয়ান ফেরদৌস আহমেদ, একই গ্রামের বাসিন্দা রুহান আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, তাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন রাস্তাটি পাকা হচ্ছে। কিন্ত ঠিকাদার নিয়ম না মেনে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে কাজ করায় রাস্তাটি কোনো কাজেই আসবে না।
তারা অভিযোগ করে বলেন, কাজের শুরুতে কাঁচা রাস্তায় নিম্নমানের ইটের খোয়া ও বালু ব্যবহারের পর এখন ধোয়ামোছা ছাড়াই কার্পেটিংয়ের কাজ করছেন ঠিকাদার। এ ছাড়া খুবই পাতলা করে কার্পেটিং করায় চার দিন গত হলেও হাতের টানেই কার্পেটিং উঠে আসছে।
এ বিষয়ে সরকার কনস্ট্রাকশনের মালিক জয়ন্ত সরকার নিয়ম না মানা ও নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে কিছু লোক তার কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।’
মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, ‘রাস্তার ওপর পড়ে থাকা বালু পরিষ্কার করেই কার্পেটিংয়ের করতে হবে। এ ছাড়া অন্য কোনো অনিয়ম হলে তাও খতিয়ে দেখা হবে।’ দৈনিক আমাদের সময়