আমীর হোসেন »

মানবদেহের অতি প্রয়োজনীয় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে কিডনি অন্যতম। কোমরের কিছুটা ওপরে দুপাশে দুটি কিডনি থাকে। পরিণত বয়সে ১টি কিডনি ১১-১৩ সেন্টিমিটার লম্বা, ৫-৬ সেন্টিমিটার চওড়া এবং ৩ সেন্টিমিটার পুরু হয়। একটি কিডনির ওজন প্রায় ১৫০ গ্রাম। তবে বাম কিডনি ডান কিডনির চেয়ে একটু বড় ও কিছুটা ওপরে থাকে।

প্রতিটি কিডনি প্রায় ১২ লাখ নেফ্রন দিয়ে তৈরি। নেফ্রন হলো কিডনির কার্যকরী ও গাঠনিক একক। কোনো কারণে এগুলো নষ্ট হলে কিডনি দ্রুত নষ্ট হয়। আক্রান্তের ক্ষেত্রে একসঙ্গে দুটি হয়ে থাকে।

যেসব খাবারে কিডনি ভালো থাকে : প্রতিদিন অন্তত ৮ গ্লাস (২ লিটার) বিশুদ্ধ পানি পান করা। তবে ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রমের ক্ষেত্রে বেশি পানি পান করা প্রয়োজন। দানা বা বীজ জাতীয় খাদ্য, যেমন-ব্রেড, নুডুলস, বাদাম ইত্যাদি বেশি বেশি খেতে হবে।

সপ্তাহে অন্তত একটি কচি ডাবের পানি পান করুন। প্রতিদিন অন্তত চারটি থানকুনি পাতা খান। শসা, তরমুজ, লাউ, বাঙ্গি, কমলালেবু, লেবু, মাল্টা, ডালিম, বিট, গাজর, আখের রস, বার্লি, পেঁয়াজ, সজনে ইত্যাদি পরিমাণমতো খেতে হবে।

ভেষজ উদ্ভিদ : গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায় এবং হাত-পায়ে পানি জমে, তারা নিয়মিত গোক্ষুর চূর্ণ ৩ গ্রাম মাত্রায় সেবন করলে মূত্রের পরিমাণ ঠিক হয়ে যায় এবং শরীরে জমে থাকা পানি বা ইউরিক এসিডের পরিমাণ কমে আসে। রক্তচন্দন কিডনি রোগীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ। এটি প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া বন্ধ করে এবং প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। পাথরকুচি পাতার নির্যাস কিডনি পাথরী ধ্বংস করতে খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

অবশ্য বর্জনীয় খাবার : চকোলেট, চকোলেট দুধ, পনির, গরু, খাসি, মুরগির মাংস, সস, পিচস, ব্রকোলি, বাদাম, মাশরুম, মিষ্টিকুমড়া, পালংশাক, টমেটো, কলা, খেজুর ও আচার।

লেখক : হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক

০১৯১১৩৮৬৬১৭, ০১৭১২৬৩৬৮৫৯

শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »