সম্প্রীতি মাহমুদ »

লিবিয়ার ত্রিপলীতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কাজের খোঁজে বেনগাজী থেকে ত্রিপলী যাবার পথে মিজদাহ এলাকায় অপহরণকারীদের খপ্পরে পড়ে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩৮ জন। মরুভূমিতে অপহরণকারীরা তাদের আটকে মুক্তিপণ দাবি করে। একপর্যায়ে অপহৃতদের একজন অপহরণকারীদের দলনেতাকে হত্যা করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অপহরণকারীরা নির্বিচারে সবার ওপর গুলি চালায়। এতে এ হতাতের ঘটনা ঘটে। নিহত বাংলাদেশিদের মরহেদ বর্তমানে মিজদাহ হাসপাতালের মর্গে পরিবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য সংরক্ষিত রয়েছে।

ত্রিপলি মিশন থেকে পাঠানো এক রিপোর্টে প্রাণে বেঁচে যাওয়া এক বাংলাদেশী যিনি বর্তমানে একজন হৃদয়বান লিবিয়ানের আশ্রয়ে আত্মগোপন করে আছেন তার বরাত দিয়ে জানায়, ১৫ দিন পূর্বে বেনগাজী থেকে মরুভূমি পাড়ি দিয়ে কাজের সন্ধানে মানবপাচারকারীরা তাদেরকে লিবিয়ার ত্রিপলী শহরে নিয়ে আসার পথে তিনিসহ মোট ৩৮ (আটত্রিশ) জন বাংলাদেশি মিজ্দাহ শহরে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে দুষ্কৃতিকারীদের হাতে জিম্মি হন। জিম্মি অবস্থায় তাদেরকে অত্যাচার, নির্যাতন করার একপর্যায়ে অপহৃত ব্যক্তিবর্গ মূল অপহরণকারী লিবিয়ান ব্যক্তিকে হত্যা করে।

ওই ব্যক্তি জানান, এর জের হিসেবে অন্যান্য দুষ্কৃতিকারীরা আকষ্মিকভাবে তাদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে যাতে আনুমানিক ২৬ (ছাব্বিশ) জন বাংলাদেশি নিহত হয়, যাদের মৃতদেহ মিজদাহ হাসপাতালে সংরক্ষিত রয়েছে। অবশিষ্ট বাংলাদেশিরা হাতে-পায়ে, বুকে-পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে মিজদাহ হাসপাতালের পরিচালক টেলিফোনে দূতাবাসকে জানান, ‘মরদেহগুলো বর্তমানে মিজদাহ হাসপাতালের মর্গে পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য সংরক্ষিত রয়েছে।’ অন্যদিকে এ ঘটনায় আহত আনুমানিক ১১ বাংলাদেশিকে জিনতান হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ত্রিপলি মেডিক্যাল সেন্টারে (টিএমসি) পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়, ত্রিপলিতে পৌঁছানো পর দূতাবাস থেকে আহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঘটনার বিস্তারিত ও নিহতদের পরিচয় জানার উদ্যোগ নেয়া হবে। পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে দূতাবাস হতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়।

এদিকে লিবিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ সেকান্দার আলী জানিয়েছেন,লিবিয়ায় বিভিন্ন মিলিশিয়া গ্রুপ তৎপর আছে। তাদের কেউ ঘটনাটা ঘটিয়ে থাকতে পারে। আমরা লিবিয়ার সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানতে চেয়েছি।

সুত্র : সময় টিভি, যমুনা টিভি, বাংলাট্রিবিউন

শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »