শাহাদাৎ হোসেন মুন্না »

সরকারি তথ্যবাতায়নে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার গ্রহীতাদের তালিকা প্রকাশ করুন! বাংলাদেশ ইউরোপ, আমেরিকার মতো উন্নত কোন দেশ নয়। তবে মহাদুর্যোগের এই ক্রান্তিকালে প্রধানমন্ত্রী যে সকল পদক্ষেপ নিয়েছেন তা ইতিমধ্যেই বিশ্ববাসীর সামনে অনন্য নজীর স্থাপন করেছে।

কিছুদিন আগে বাংলাদেশের জনগন যা কল্পনা করতে পারেনি, তেমনই একটি উদ্যোগ নিয়ে সরকার। করোনায় লন্ডভন্ড নিম্ন আয়ের জনগণের সংসার, জীবন। তাদের জন্য আসছে ঈদে ২৫’শ টাকা করে ঈদ বোনাস ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোবাইল ব্যাংকিং তথা নগদ এবং বিকাশসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ২৫’শ টাকা হারে ৫০ লক্ষ পরিবারকে ঈদ উপহার দেওয়া হবে।

৫০ লক্ষ পরিবার কারা, যাদেরকে এই অর্থ সাহায্য দেওয়া হবে? তা নিয়ে জনমনে হাজারো প্রশ্ন। ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়। করোনার এই ভয়াবহতার মধ্যেও “খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর” চাল অনেক জনপ্রতিনিধি আত্মসাৎ করেছেন। প্রধামন্ত্রীর নির্দেশে তাদের অনেকে দন্ডপ্রাপ্তও হয়েছেন।

জনগণের এই ঈদ উপহারও অনেক জনপ্রতিনিধি আত্মসাৎ করতে পারেন, জনমনে এমন শংকা। স্বচ্ছতার স্বার্থে এনআইডির ব্যবহার হলেও, অনেক জনপ্রতিনিধি তাদের নিজেদের মোবাইল নাম্বার দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন কিছু অসাধু জনপ্রতিনিধির জন্য সরকারকে বারংবার বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।

এমন পরিস্থিতিতে যদি প্রতিটি এলাকায় কারা কারা টাকা পেয়েছে তাদের নাম ও ফোন নাম্বার সহ প্রতিটা ওয়ার্ডে/ইউনিয়নে ঝুলিয়ে দেওয়া র দাবী জানাচ্ছি। যাতে করে অসাধু জনপ্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রীর এই ঈদ উপহার বন্টনে কোনরূপ দূর্নীতির আশ্রয় নিতে না পারে। জনগনের কাছে সরকারের দেওয়া এই প্রণোদনার সুষম বণ্টনে স্বচ্ছতা থাকবে।

পাশাপাশি সফটওয়্যারের মাধ্যমে ডাটাবেইজ তৈরি করে প্রতিদিন কতোজনের কাছে এই উপহার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে তা সংশ্লিষ্ট তথ্যবাতায়ন তথা ওয়েবসাইটগুলোতে প্রকাশ করার জোর দাবী জানাই। সরকার যে লক্ষ্য নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করছে, এই ডাটাবেইজ সেখানেও একটি অনন্য দৃষ্টান্তও স্থাপন হবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

লেখক : শাহাদাৎ হোসেন মুন্না
ভাইস চেয়ারম্যান
সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস সোসাইটি।

শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »