বার্তাবাংলা ডেস্ক »

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেছেন, বনানীর এফ আর টাওয়ারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে প্রত্যেকটি বিভাগের গাফলতি চিহ্নিত করে আদালতে অভিযোগপত্র প্রদান করবে পুলিশ।

ওই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় তাজভিরুল ইসলাম ও এস এম এইচ আই ফারুক নামে দুই জনকে গ্রেফতারের পর আজ (রোববার) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এমন কথা বলেন।

এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগ শনিবার রাত সাড়ে ১০টা হতে পৌনে ১টা পর্যন্ত গুলশান, বসুন্ধরা ও বারিধারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে।

আব্দুল বাতেন বলেন, ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু হওয়া থেকে ব্যবহার পর্যন্ত যার যা দায়িত্ব ছিল তারা সেগুলো সঠিকভাবে পালন করেছে কিনা আমরা তা নিরূপণ করব। তারা যদি সঠিকভাবে তাদের দায়িত্বগুলো পালন করতো তাহলে এই দুর্ঘটনা হতো না। আমরা সেটাই তদন্তে তুলে ধরব।

তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে অভিযান চালিয়ে আমরা দুই জনকে গ্রেফতার করেছি। এর মধ্যে ফারুক ভবনের ৪৫ শতাংশ জমির, তাসভির উল ইসলাম ১৮ থেকে ২৩ তলার মালিক। আমরা তদন্ত প্রতিবেদনে জমির মালিকের ভূমিকা, ডেভেলপার কোম্পানির ভূমিকা, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা কেমন ছিল- সেগুলো তুলে ধরব। এছাড়াও রাজউকের পরিদর্শন, ভবন তৈরির শর্তাবলি পূরণ করা হয়েছিল কি-না, ফায়ার সার্ভিসের সার্টিফিকেট দেয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা কেমন ছিল- সেগুলোও দেখা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভবনটির ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান রূপায়ন গ্রুপের অবশ্যই দায় রয়েছে। যারা ফ্লোরগুলো কিনেছে তাদেরকে এখনও ক্রয়ের রেজিস্ট্রেশনের কাগজ বুঝিয়ে দেয়নি রূপায়ন। তাই রেজিস্ট্রেশন বুঝিয়ে দেয়ার আগে কিছু ঘটলে তার অবশ্যই দায় রূপায়নের।

উল্লেখ্য যে, গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বৃহস্পতিবার বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক রূপায়ন (এফআর) টাওয়ারের ভয়াবহ আগুনে ঘটনাস্থলেই ২৫ জন ও হাসপাতালে ১ জন নিহত হন। আহত হন আরও ৭৩ জন।

এ ঘটনায় শনিবার বনানী থানায় অবহেলাজনিত মৃত্যু সংঘটনের অভিযোগে একটি মামলা করা হয়েছে। এতে তাসভির উল ছাড়াও রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল, বুয়েটের অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী এসএমএইচআই ফারুককে আসামি করা হয়।

 

শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »