বার্তাবাংলা ডেস্ক »

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের যে বৈঠক হওয়ার কথা তা বাতিলের হুঁশিয়ারি দিয়েছে পিয়ংইয়ং। কিন্তু সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিতব্য ওই বৈঠক নিয়ে আশাবাদী যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওই বৈঠকের জন্য প্রস্তুত আছেন।

সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার তরফ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি একতরফা তাদের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করার জন্য চাপ দেয় তাহলে তারা বৈঠক বাতিল করবে।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে বলা হচ্ছে উত্তর কোরিয়া বৈঠক বাতিল করলেও যুক্তরাষ্ট্র তা সফল করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাবে। তবে পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সবসময় জোর দিয়ে যাবে বলেও জানানো হয়েছে।

বুধবাার উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানানো হয়, পরমাণু কর্মসূচি বন্ধের বিষয়ে ওয়াশিংটন যদি বেশি চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করে, তবে ট্রাম্পের সাথে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক বাতিল করবে পিয়ংইয়ং।

দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়াকে ঘিরে আবারো উত্তর কোরিয়ার সাথে এই দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পিয়ংইয়ংয়ের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই সামরিক মহড়া কোরীয় উপদ্বীপে দুই কোরিয়ার উষ্ণ সম্পর্কের জন্য হুমকি। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার তরফ থেকে এক ঘোষণায় জানানো হয় তারা তাদের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করে দেবে। কিন্তু তারপরেই দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যৌথ সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আগামী ১২ই জুন সিঙ্গাপুরে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উনের মধ্যে বহুল প্রত্যাশিত এই বৈঠকটি হওয়ার কথা রয়েছে। এদিন কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত রাখার করণীয় বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারেন এই দুই নেতা। যদিও এরমধ্যে নিজেদের পরমাণু পরীক্ষা কেন্দ্র ধ্বংস করে ফেলার কাজ শুরু করেছে উত্তর কোরিয়া।

যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে যৌথ সামরিক মহড়ার পর বুধবার উত্তর কোরিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম কেই গুয়ানের বরাত দিয়ে কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএর খবরে বলা হয়েছে, আমাদের কোনঠাসা করে যুক্তরাষ্ট্র যদি একতরফাভাবে চায় যে আমরা পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করব তাহলে আমাদেরও তাদের সঙ্গে আলোচনা করার আর কোনো আগ্রহ নেই। সেক্ষেত্রে ডেমোক্রেট রিপাবলিক অব কোরিয়ার (ডিপিআরকে) সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন সামিট অনুষ্ঠিত হবে কিনা সে বিষয়ে আমরা পুনর্বিবেচনা করব।

এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স বলেন, যদি বৈঠক না হয়, আমরা উত্তর কোরিয়াকে সর্বোচ্চ চাপের মধ্যে রাখব, যেভাবে তাদের ওপর ইতোমধ্যেই চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »