আজকের এই সময় লাখো হাজির সমাগমে মুখরিত হওয়ার কথা ছিল মক্কা এবং মদিনা। এবাদতের মাধ্যমে ব্যস্ত সময় পার করতেন হাজিরা। বৈশ্বিক মহামারির করোনাভাইরাসের কারণে সীমিত সংখ্যক হাজির অংশগ্রহণে আজ থেকে শুরু হয়েছে হজের আনুষ্ঠানিকতা।
করোনাভাইরাসের কারণে সৌদি সরকার আন্তর্জাতিক অঙ্গনের হাজিদের হজ্জে অংশগ্রহণ বাতিল হওয়ার কারনে বন্ধ রয়েছে মক্কা ও মদিনার আবাসিক হোটেলসহ নানারকম ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এইসব প্রতিষ্ঠান গুলোতে প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি কাজ করতেন। তাদের মধ্যে কেউ দেশে ছুটিতে রয়েছে আবার কিছু সংখ্যক কাজ করলেও বেতন পাচ্ছেনা।
মক্কা এবং মদিনায় অনেক কোম্পানী আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আবাসিক হোটেলসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। এবং অনেক কোম্পানি শ্রমিকের আকামা রিনিউ না করায় এইসব শ্রমিকরা হতাশায় রয়েছে। প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের। বাংলাদেশী শ্রমিকদের বেশীরভাগ ফ্রি ভিসার আওতায় কাজ করার কারণে করোনাভাইরাসের কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কাজ হারিয়ে এখন বেকার সময় কাটাচ্ছে তারা।
অনেকে মনে করছেন, এসব শ্রমিকরা চাকরিচ্যুত হওয়ার কারনে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের প্রভাব পড়বে শ্রমবাজার। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে প্রবাসীরা তেমনি কমে আসবে রেমিট্যান্স।
পবিত্র মক্কা এবং মদিনায় আবাসিক হোটেল গুলো হচ্ছে প্রবাসী শ্রমিকদের মূল কর্মসংস্থান। বিশেষ করে ওমরাহ এবং হজকে কেন্দ্র করে এখানকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চলে এবং শ্রমিকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। ফলে মক্কা এবং মদিনার প্রবাসী শ্রমিকরা বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লকডাউন খুলে দেয়া হলেও খোলা হয়নি হারামের আশপাশের আবাসিক হোটেলসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
মদিনা প্রবাসী দেলোয়ার হোসেন সুমন জানান, অনেকে চাকরি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। গত ৫/৬ মাস চাকরি না থাকায় টাকার অভাবে দেশেও যেতে পারছে না। এদিকে, করোনাভাইরাসের কারণ স্বাভাবিক ফ্লাইট বন্ধ থাকায় হতাশায় রয়েছে অনেক প্রবাসী। এখন স্বাভাবিক সময়ের অপেক্ষায় দিন পার করছেন ওই সকল প্রবাসী শ্রমিকরা।