রাজন মিত্র »

সরকারি অনুমোদন না নিয়ে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করার অভিযোগে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার একটি ক্লিনিকের মালিক আবদুল ওহাব রানাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসির গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় আবদুল ওহাব রানা, তার সহযোগী সুজন আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আবু সাইদকে আসামি করে গতকাল বুধবার রাতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

শেখ নাসির আরও বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার আবদুল ওহাব রানাকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।’ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার রূপপুর মেডিকেয়ার ক্লিনিকের মালিক রানা করোনা পরীক্ষা করাতে প্রতিজনের কাছে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা করে নিতেন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের নমুনা সংগ্রহের জন্য প্রকল্প এলাকার পাশেই একটি পরিত্যক্ত ইটভাটার মাঠে তাবু টানিয়ে বুথ স্থাপন করেন তিনি।

আরও জানা যায়, নমুনা দানকারীদের মেডিকেয়ার ক্লিনিকের পক্ষ থেকে জানানো হতো, সংগ্রহ করা নমুনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা হবে। এরপর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসতো অনলাইনে। সেই কপি প্রিন্ট করে দেওয়া হতো। রিপোর্টগুলোতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পক্ষে চেয়ারম্যান ডাক্তার আবু সাইদের স্বাক্ষর আছে।

এ প্রসঙ্গে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এফ এ আসমা খান বলেন, ‘সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলো করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ ও রিপোর্ট দিতে পারবে। সিভিল সার্জন অফিস নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠাবে। রিপোর্ট সিভিল সার্জন অফিস বা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে হবে। রূপপুর মেডিকেয়ার ক্লিনিক কীভাবে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ ও রিপোর্ট প্রদান করছে তা আমার জানা নেই।’

শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »