আমীর হোসেন »

দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ মৃত্যু হয়েছে ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষের। এর পরই  ৫১-৬০ বছর ২৯.৬২ শতাংশ, ৪১-৫০ বছর ১৭.৩৯ শতাংশ, ৩১-৪০ বছর ৮.২৯ শতাংশ, ২১-৩০ বছর ৩.৪ শতাংশ, ১১-২০ বছর ১.৪৯ শতাংশ  এবং  ১-১০ বছরের ০.৮২ শতাংশ ব্যক্তি।

অন্যদিকে দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৭১ শতাংশ এবং নারী ২৯ শতাংশ। আর বয়স বিবেচনায় আক্রান্তের হার ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ৭ শতাংশ,  ৫১-৬০ বছর ১১ শতাংশ, ৪১-৫০ বছর ১৭ শতাংশ, ৩১-৪০ বছর ২৭ শতাংশ, ২১-৩০ বছর ২৮ শতাংশ, ১১-২০ বছর ৭ শতাংশ, ১-১০ বছর ৩ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে ২১ থেকে ৪০ বছর বয়সের ব্যক্তিরা বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত করোনাভাইরাস বিষয়ক বুলেটিনে এসব তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫০টি ল্যাবে মোট নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৪ হাজার ৬৪৫টি। পরীক্ষা হয়েছে ১৪ হাজার ৮৮টি। এর মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ৮২৮টি নমুনায়। সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার ৩৯১। শেষ ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২০.০৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ৬৪৩ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১২ হাজার ৮০৪ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১.২০ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ জনসহ এ পর্যন্ত মারা গেছে  ৮১১ জন এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৩৪ শতাংশ।

শেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ এবং সাতজন নারী। বয়স বিভাজনে ৩১-৪০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৭১-৮০ বছরের মধ্যে দুজন এবং ৮১-৯০ বছরের মধ্যে একজন মারা গেছে। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ জন, সিলেট বিভাগে তিনজন, রাজশাহী বিভাগে দুজন, বরিশাল বিভাগে একজন এবং রংপুর বিভাগে একজন।

শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »