বার্তাবাংলা ডেস্ক »

পাথরভর্তি জমি। তার মাঝেই ছোট্ট একটা গর্তের মধ্যে পানি জমে রয়েছে। সেখানেই হাজির হয় চারটি হরিণ। পানি খাওয়ার জন্য এগিয়ে আসে হরিণগুলো। আচমকাই যেন একটু সতর্ক হয়ে গেল সামনে থাকা দুটো হরিণ। দু-একবার এদিক ওদিক তাকিয়ে ফের পানিতে মুখ ডোবালো দু’জন। ততক্ষণে একটা হরিণ একটু সাইডে সরে গেছে। ক্ষণিকের জন্য অন্যমনস্ক হয়েছিল সে। আর তাতেই ধেয়ে এল মৃত্যুফাঁদ। পানি থেকে এক ঝাপটায় লাফিয়ে উঠল বিশাল এক অজগর। নিমেষে টেনে নিয়ে গেল দলছুট হওয়া হরিণটিকে। কয়েক মাইক্রো সেকন্ডেই হরিণটিকে পেঁচিয়ে পানিতে টেনে নামিয়ে নেয় অজগরটি। নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও।

টুইটারে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন সুশান্ত নন্দা নামের এক ফরেস্ট অফিসার (আইএফএস)। জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রের সেন্ট্রাল চন্দ ডিভিশনের ই সার্ভিলিয়েন্স ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এই ফুটেজ। যা দেখে আঁতকে উঠেছেন সকলেই। ভিডিও শেয়ার করে সুশান্ত নন্দা আরও লিখেছেন যে, শিকার করার সময় পাইথনরা (অজগর) একটি বিশেষ পদ্ধতি নেয়। প্রথমেই একলাফে শিকারকে পেঁচিয়ে ফেলে সে। এই সময় নিজেদের ধারালো দাঁত ব্যবহার করে পাইথনরা। ৫০ মিলিসেকেন্ডেরও কম সময়ে দাঁত দিয়ে শিকারকে প্রথমে ঘায়েল করে অজগররা। তারপর ক্রমশ পেঁচিয়ে ধরতে থাকে।

সবমিলিয়ে একজন মানুষের একবার চোখের পলক ফেলার থেকেও কম সময়ে শিকার শেষ করে ফেলে পাইথনরা। সুশান্ত নন্দা জানিয়েছেন একজন মানুষের একবার চোখের পলক ফেলতে লাগে ২০০ মাইক্রোসেকেন্ড। আর নিজের শিকারকে ঘায়েল করতে একটা পাইথনের সময় লাগে ৫০ মাইক্রোসেকেন্ড। পাইথনের শিকার ধরার এই ভিডিও দেখে ভয়ে আৎকে উঠেছেন নেটিজেনরা। কেউ কেউ লিখছেন, পাইথন এভাবে লাফিয়ে শিকার ধরে তা জানা ছিল না। ভয়ঙ্কর ব্যাপার। কেউবা লিখেছেন, ভিডিও দেখে আঁতকে উঠেছে। শিকার ধরার সময় একটা পাইথন যে এত ভয়ানক হতে পারে তার ধারনা ছিল না। সূত্র : দ্য ওয়াল।

শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »