জার্মানির রাজধানী বার্লিনে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় অভিযোজনে বিকল্প কৃষি প্রক্রিয়া এবং অভিবাসী জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন উদ্যোগ বিষয়ে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জার্মান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জিআইজেড-সিম এর অর্থনৈতিক সহায়তায় ইউরোপ ভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা বাসুগ এবং নেপালি উন্নয়ন সংস্থা সল্ভ নেপাল এই কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন জার্মানিতে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত রামেশ প্রসাদ খানাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর ড. সৈয়দ মাসুম আহমেদ চৌধুরী। ডায়াসপোরা উন্নয়ন উদ্যোগে জিআইজেড/সিম এর সহায়তা কর্মসূচি এবং প্রেক্ষিত নেপাল বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অতিথি বক্তা জিআইজেড/সিমের জুনিয়র প্রকল্প ব্যবস্থাপক মারিয়ুস ইয়েডলিচকা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সলভ নেপালের নির্বাহী পরিচালক রাজেন্দ্র বাহাদুর প্রধান এবং বাসুগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাসুগ জার্মানির প্রকল্প কর্মকর্তা মারিনা জোয়ারদার। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডেইলি স্টারের জার্মান প্রতিনিধি নাজমুন্নেসা পিয়ারী, ডয়েচে ভেলের প্রাক্তন সাংবাদিক এবং সীমান্ত সাময়িকীর সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম, খালেদ নোমান নমি এবং বাসুগ সদস্য নুবায়রা নোভা।কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত খানাল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার নারী এবং শিশুরা। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজনের মধ্য দিয়ে নারীর ক্ষমতায়নে আমাদেরকে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে এগিয়ে আসতে হবে। নারীর ক্ষমতায়ন শুধুমাত্র একটি নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্বই নয়, বরং এটি একই সঙ্গে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করে।
বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর ড. চৌধুরী বলেন, এখনই আমাদেরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মতো হুমকির মুখে থাকা দেশগুলোসহ এই ধরণীকে বাঁচাতে জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে এবং অভিযোজনে পদক্ষেপ নিতে হবে।