বার্তাবাংলা ডেস্ক »

সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের আয়োজনে শরবত ও ফলজাতীয় খাবার রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ভাজাপোড়া খাবার উপকারের থেকে অপকারই বেশি করে। তবে তাজা ফল ও ফলের শরবত বেশ উপকারী। ইফতারে ঠান্ডা একগ্লাস বেলের শরবত হলে নিমিষেই যেন প্রাণ জুড়িয়ে যায়। বেলের নানান গুণাগুণের জন্য আমরা বেল খেয়ে থাকি। কারণ বেলে আছে নানান ঔষুধী গুণাবলী যা, আমাদের দেহের অনেক উপকার করে থাকে। বেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, এ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও পটাসিয়াম।

বেল পেট ঠান্ডা রাখে। বেলের শরবত খেলে ক্লান্তিভাব দূর হয়। বেলের ভিটামিন ‘এ’ চোখের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোর পুষ্টি জোগায়। ফলে চোখের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

বেল পেটের নানা অসুখ সারাতে দারুণ কার্যকর। দীর্ঘমেয়াদী আমাশয়-ডায়রিয়া রোগে কাঁচা বেল নিয়মিত খেলে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা সম্ভব। বেলের শাঁস পিচ্ছিল বলে এই ফল পাকস্থলীতে উপকারী পরিবেশ সৃষ্টি করে, খাবার সঠিকভাবে হজম করতে সাহায্য করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

বেলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ, যা মুখের ব্রণ সারাতে সাহায্য করে। যাদের পাইলস আছে, তাদের জন্য নিয়মিত বেল খাওয়া উপকারী। এতে আছে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি গ্রীষ্মকালীন বহু রোগবালাই দূরে রাখে।

নিয়মিত বেল খেলে কোলন ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা কমে। সর্দি হলে বেলপাতার রস এক চামচ খেলে সর্দি ও জ্বরভাব কেটে যায়। জন্ডিসের সময় পাকা বেল গোলমরিচের সঙ্গে শরবত করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »