বার্তাবাংলা ডেস্ক »

Dating App

রোববারের সূর্য পশ্চিমাকাশে ডুব দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদায় হবে ২০১৭ সাল। শুরু হবে নতুন বছরের সূর্যোদয়ের প্রতীক্ষার পালা। সূর্য ডুবার এ রাতেই পৃথিবীর হালখাতা থেকে স্মৃতি হয়ে যাবে ২০১৭ সাল নামের একটি বছর।

পথচলা শুরু হবে ২০১৮ ইংরেজি বছরের। বিদায়ের বেদনার মাঝেও ৩৬৫ দিনের সফলতা-ব্যর্থতার হিসাব পেছনে ফেলে সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায় ৩১ ডিসেম্বর রাতে ২০১৮ সালকে স্বাগত জানিয়ে পালন করা হবে থার্টি ফার্স্ট নাইট।

প্রতিবছর এ উপলক্ষে পর্যটন নগরী খ্যাত কক্সবাজার লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে। বিগত দেড় দশক এমন চিত্রই দিয়েছে বালিয়াড়ি। এবারও থার্টি ফার্স্ট এবং বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে কক্সবাজার সৈকত ও আশপাশের পর্যটন এলাকায় অতিথি ও স্থানীয় মিলিয়ে প্রায় ৫ লাখ পর্যটক সমাগম হবে এমনটি প্রত্যাশা পর্যটন সংশ্লিষ্টদের। গত এক দশক থেকে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে বেসরকারি টেলিভিশন কিংবা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি সৈকতে উন্মুক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বর্ষবরণ জমিয়েছে। তারকা হোটেলগুলো আয়োজন করতো ইনডোর অনুষ্ঠান। যেখানে বহিরাগতরাও অংশ নিতে পারতেন। কিন্তু এবার থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে সৈকত তীরে উন্মুক্ত বা বাউন্ডারি ভুক্ত কোনো অনুষ্ঠান হচ্ছে না। তারকা হোটেলগুলোও সবার জন্য করছে না কোনো আয়োজন। তবে হোটেল ওশান প্যারাডাইজ, সায়মন বিচ রিসোর্ট ও রয়েল টিউলিপ সি পার্ল ইনহাউজ গেস্টদের জন্য আয়োজন করছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। এবার বাইরের কোনো অতিথিকে এসব উপভোগের সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। তাই এবারের থার্টি ফার্স্ট নাইট বা নতুন বছর বরণকে ‘প্রাণহীন’ বলে উল্লেখ করেছেন পর্যটকরা।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাহিদুর রহমানের মতে, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বিচে উন্মুক্ত অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে পর্যটকরা চাইলে রাত ১২ পর্যন্ত বিচে ঘুরতে পারবেন। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বেশ কয়েকটি টিম মাঠে থাকবে। কিন্তু রাত ১০টার পর হোটেলের সব বার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শহরের অভ্যন্তরে যানজট কমাতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

পর্যটন সংশ্লিষ্টদের মতে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে থার্টি ফার্স্ট নাইট উৎসবের আগেই বিজয় দিবস ও শীতকালীন ছুটিকে উপলক্ষ্য করে পর্যটকে ভরে গেছে কক্সবাজার। সমানতালে পর্যটকরা ভিড় জমাচ্ছেন সমুদ্র সৈকত, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, টেকনাফ, শাহপরীরদ্বীপ, ইনানী, হিমছড়ি, রামুর বৌদ্ধপল্লী, চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, মহেশখালীর আদিনাথ, সোনাদিয়াসহ পুরো কক্সবাজারের পর্যটন স্পটে। পর্যটক আকৃষ্ট করতে সাজানো হয়েছে এসব স্থান। ইংরেজি নতুন বছর ২০১৮ সালকে স্বাগত জানাতে প্রায় ৫ লাখ পর্যটকের মিলন মেলায় মুখরিত হয়ে উঠবে পর্যটন নগরী। এর ধারাবাহিকতা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে বলে ধারণা তাদের।

Dating App
শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »