বার্তাবাংলা ডেস্ক ::জামায়াতে ইসলামীর ডাকে হরতালের দ্বিতীয় দিনের সকালেই সিলেটে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে জামায়াত-শিবির কর্মীরা।
ভোরে নগরীর দরগাগেইট, মেডিকেল সড়ক, তালতলা, মদিনামার্কেট, কুমারপাড়ায় ঝটিকা মিছিল করে হরাতালকারীরা। এ সময় ব্যাপক গাড়ি ভাংচুর করা হয় এবং টায়ারে আগুন ধরিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন স্থানে ২০-২৫টি হাতবোমা ফাটানো হয়।
সকাল সাড়ে ৭ টায় মদিনা মার্কেট এলাকায় চারটি আটোরিকশা ও একটি টোম্পো ভাংচুর করে হরতালকারীরা।
সকাল পৌনে ৮ টায় শিবগঞ্জে সিলেট-তামাবিল সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে পিকেটিং করার চেষ্টা করে শিবিরকর্মীরা। পুলিশ হরতালকারীদের ধাওয়া করলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ে। এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ সময় পুলিশের রাবার বুলেটে চার কর্মী আহত হন বলে দাবি করেছেন ইসলামী ছাত্র শিবিরের মহানগর সভাপতি আনোয়ারুল ওয়াদুদ টিপু।
সকাল থেকে নগরীতে রিকশা ও অটোরিকশা চলাচল করলেও ভারি যানবাহন চলতে দেখা যায়নি। প্রধান সড়কগুলোতে দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে।
নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে র্যাবের টহল।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল্লাহ আল আজাদ চৌধুরী বলেন, জামায়াত-শিবিরের যে কোন ধরনের নাশকতা ঠেকাতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
সিলেট থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে না গেলেও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ জানান, সূচি অনুযায়ী সিলেট থেকে নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশ্যে সব ট্রেন ছেড়ে গেছে।
যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে মঙ্গলবারও সারাদেশে হরতাল করে জামায়াতে ইসলামী। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের মামলার রায়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ার পর বুধবারও সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে দলটি।