বার্তাবাংলা ডেস্ক »

ctg-strike-sm20130205211934বার্তাবাংলা ডেস্ক ::শীর্ষ নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার বিচারের রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে এবং মানবতা বিরোধী অপাধের বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনাল বাতিলের দাবিতে বুধবার বন্দরনগরী চট্টগ্রামে শান্তিপূর্ণভাবে চলছে জামায়াত ইসলামীর ডাকা দ্বিতীয় দিনের হরতাল।

মঙ্গলবার হরতাল পালনকালে দিনভর নগরীতে বিভিন্ন সহিংসতার ঘটনা ঘটালে বুধবার জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের মাঠে নামার খবর পাওয়া যায়নি। এর ফলে নগরী এবং জেলায় ভোর থেকে কোন অপ্রীতিকর ঘটনারও খবর পাওয়া যায়নি।তবে হরতাল শুরুর আগে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি এলাকায় পিকেটিংয়ের প্রস্তুতি নেয়ার সময় পুলিশ একজনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার শাহ মো.আব্দুর রউফ।

সিএমপি`র ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এস এম তানভির আরাফাত জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর ষোলশহর এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় `পেট্রল বোমা` সদৃশ দু`টি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে আব্দুল কাদের মোল্লার রায় ঘোষণার পর নগরীতে সহিংস হয়ে উঠে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। নগরীর অলংকার মোড়ে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষে একজন এবং সন্ধ্যায় আগ্রাবাদে সংঘর্ষে তিনজনসহ মোট চারজন নিহত হয়।

এসব ঘটনার রেশ ধরে কিছুটা থমথমে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে বুধবার নগরীতে হরতাল শুরু হয়। আর জামায়াত-শিবিরের সহিংসতা মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আগের চেয়ে আরও কঠোর অবস্থানে রাখা হয়েছে।

নগর পুলিশের বিশেষ শাখা সূত্রে জানা গেছে, নগরীতে অতিরিক্ত মোতায়েন করা পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। হরতালের শুরু থেকে নগরীতে প্রায় দু’হাজার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে নগর পুলিশ কমিশনার নগরীতে বিজিবি মোতায়েনের অনুরোধ করে পুলিশ সদর দপ্তরের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানোর পর নগরীতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এসব বিজিবি সদস্য পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে নগরীতে দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামে বিজিবি`র স্টাফ অফিসার মেজর আরিফ মহিউদ্দিন মাহমুদ।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘মাঠে পুলিশ ফোর্স বাড়ানো হয়েছে। বিজিবিও পুলিশের সঙ্গে আছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি কঠোরভাবে দমন করা হবে।’

নগরীর বাইরে বিভিন্ন উপজেলায়ও হরতাল উপলক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

হরতাল চলাকালে তুলনামূলকভাবে কম হলেও নগরীতে যানবাহন চলছে। নগরীর রাস্তায় রিক্সা ছাড়া বিচ্ছিন্নভাবে কিছু গণপরিবহনও চলছে। এছাড়া নগরীতে  দূরপাল্লার প্রায় সব পরিবহন কাউন্টার বন্ধ আছে। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে বলে জানা গেছে।

এদিকে হরতাল হলেও অধিকাংশ পোশাক কারখানা এবং সরকারী-বেসরকারী অফিস, কলকারখানা সচল আছে। দুর্ভোগ এড়িয়ে এসব অফিস, কারখানায় যোগ দিয়েছেন শ্রমজীবী মানুষ।

শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »