শহরায়ন বা নগরায়ন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক বিকাশের একটি অপরিহার্য প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচিত হলেও, এটি বহু চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসছে। নগরায়নের ফলে শহরগুলোতে উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হয়েছে, তবে একইসঙ্গে পরিবেশগত ও সামাজিক সমস্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশেষত, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এই সমস্যাগুলোকে আরও জটিল ও মারাত্মক করে তুলেছে। বাংলাদেশ, তার ভূগোলিক অবস্থান এবং ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলির কারণে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল।
এই প্রবন্ধে বাংলাদেশের বড় শহরগুলোর সামনে থাকা শহরায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ এবং তা মোকাবেলার উপায় নিয়ে আলোচনা করা হবে।
শহরায়নের বর্তমান প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশে শহরায়ন দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের প্রায় ৩৭% জনসংখ্যা শহরাঞ্চলে বাস করে, এবং এই সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢাকার মতো মেগাসিটি থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, এবং সিলেটের মতো বড় শহরগুলোতে প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ গ্রাম থেকে শহরে পাড়ি দিচ্ছে।
এই গণনাগরিক স্থানান্তরের প্রধান কারণ হলো অর্থনৈতিক সুযোগ, শিক্ষার প্রসার, এবং উন্নত জীবনের অনুসন্ধান।
শহরায়নের ফলে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন বৃদ্ধি পেয়েছে, শিল্পায়ন ও ব্যবসায়ের প্রসার ঘটেছে, এবং নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, এই দ্রুত নগরায়ন প্রক্রিয়া শহরগুলোর প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশের ওপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করেছে।
বিশেষ করে, অপরিকল্পিত নগরায়ন ও উন্নয়নের ফলে শহরগুলোর পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, যা পরবর্তীতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।
শহরায়নের প্রভাব
১. জমির ব্যবহার ও পরিবেশগত অবক্ষয়
বাংলাদেশের বড় শহরগুলোতে নগরায়নের ফলে জমির ব্যবহার ও পরিবেশগত অবক্ষয় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্রুত নগরায়নের প্রক্রিয়ায় কৃষিজমি, প্রাকৃতিক জলাভূমি এবং সবুজ এলাকা দখল করে বসতি নির্মাণ, রাস্তাঘাট এবং অন্যান্য অবকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। এর ফলে শহরাঞ্চলে সবুজ এলাকা ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে, যা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বড় ধরনের ক্ষতি করছে।
এইসব নগরায়িত এলাকা প্রাকৃতিক জলাধার ও জলাশয়ের স্থান দখল করে গড়ে তোলার ফলে, শহরগুলোতে প্রাকৃতিকভাবে জল ধারণ করার ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এর ফলে, বর্ষাকালে শহরগুলোতে বন্যা এবং জলাবদ্ধতার সমস্যা প্রকট হয়ে উঠছে। এছাড়া, কৃষিজমি ধ্বংসের কারণে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে, যা শহরবাসীর জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
২. পরিবেশ দূষণ
বড় শহরগুলোতে পরিবহন ব্যবস্থা, শিল্প কারখানা, এবং অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে পরিবেশ দূষণের মাত্রা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, এবং অন্যান্য বড় শহরে বায়ু দূষণ এবং শব্দ দূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি, শিল্প কারখানার কার্বন নিঃসরণ, এবং অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কারণে শহরগুলোতে বায়ুর মান নেমে গেছে।
বিশেষ করে, শীতকালে ঢাকার বায়ু দূষণের মাত্রা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছে, যা শ্বাসকষ্টজনিত রোগের প্রকোপ বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া, অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কারণে নদী এবং খালগুলো দূষিত হচ্ছে, যা মানুষের স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক। পানির গুণমান হ্রাস পেয়েছে এবং পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা জনস্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
৩. জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতি শহরের সংবেদনশীলতা
নগরায়নের ফলে বড় শহরগুলোতে ঘনবসতি বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরিকল্পিত নির্মাণ কাজ চলছে, এবং পর্যাপ্ত সবুজ এলাকা নেই। এসব কারণে শহরগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে উঠেছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে শহরগুলোতে ‘উষ্ণ দ্বীপ’ প্রভাব দেখা দিচ্ছে, যেখানে শহরের তাপমাত্রা আশেপাশের গ্রামাঞ্চলের তুলনায় অনেক বেশি থাকে।
এই উষ্ণ দ্বীপ প্রভাবের কারণে শহরের তাপমাত্রা গ্রীষ্মকালে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়, যা মানুষের জীবনযাত্রার মানকে প্রভাবিত করে এবং স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়া, তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়ে যায়, যা বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করে এবং লোডশেডিংয়ের ঘটনা বাড়ায়।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব
১. বন্যা এবং জলাবদ্ধতা
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে বৃষ্টিপাতের প্যাটার্ন পরিবর্তিত হয়েছে, যা বড় শহরগুলোর জন্য বন্যা এবং জলাবদ্ধতার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে। ঢাকার মতো শহরগুলোতে অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং যথাযথ নিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পানির নিষ্কাশনের পথগুলো অবরুদ্ধ হয়ে পড়ার কারণে শহরগুলোতে তীব্র বন্যা দেখা দেয়, যা মানুষের জীবনযাত্রাকে বিপর্যস্ত করে তোলে।
এছাড়া, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে উপকূলীয় শহরগুলোতে জলাবদ্ধতার ঝুঁকি আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। চট্টগ্রামের মতো উপকূলীয় শহরগুলোতে ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাসের ফলে তীব্র বন্যা এবং জলাবদ্ধতার ঘটনা ঘটে। এ ধরনের পরিস্থিতি নগরবাসীর জীবনে ব্যাপক ক্ষতি ডেকে আনে এবং শহরের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্ত করে।
২. তাপদাহ এবং ‘উষ্ণ দ্বীপ’ প্রভাব
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং বড় শহরগুলোতে ‘উষ্ণ দ্বীপ’ প্রভাবের কারণে তাপদাহের ঘটনা আরও মারাত্মক হয়ে উঠছে। শহরের ঘনবসতি, রাস্তাঘাট, এবং অন্যান্য পাকা নির্মাণকাজের কারণে শহরের তাপমাত্রা আশেপাশের গ্রামীণ এলাকার তুলনায় অনেক বেশি থাকে। এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে গ্রীষ্মকালে তাপদাহের প্রকোপ বাড়ে, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করে।
বিশেষ করে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের মতো শহরগুলোতে তাপদাহের কারণে মানুষজন শ্বাসকষ্ট, হিট স্ট্রোক, এবং ডিহাইড্রেশনের শিকার হয়। বয়স্ক এবং শিশুদের জন্য এই পরিস্থিতি বিশেষভাবে বিপজ্জনক। এছাড়া, তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ওপর চাপ বৃদ্ধি পায়, কারণ মানুষ ঠান্ডা থাকার জন্য আরও বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, যা বিদ্যুতের ঘাটতি এবং লোডশেডিংয়ের সমস্যাকে বাড়িয়ে তোলে।
৩. পানি সংকট
বড় শহরগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পানি সংকট একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঢাকা শহরে প্রতিদিনের পানির চাহিদা পূরণে প্রচুর মিঠা পানি প্রয়োজন, কিন্তু ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমাগত নিচে নেমে যাওয়ায় পানি সংকট প্রকট হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অনিয়মিত বৃষ্টিপাত এবং দীর্ঘস্থায়ী খরার কারণে পানির উত্সগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া, লবণাক্ত পানির অনুপ্রবেশের কারণে উপকূলীয় শহরগুলোতে মিঠা পানির সংকট আরও তীব্র হচ্ছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম এবং খুলনার মতো শহরগুলোতে এই সংকট আরও বেশি প্রকট। নিরাপদ পানির অভাবের কারণে মানুষজন বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
৪. স্বাস্থ্য সংকট
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ফলে বড় শহরগুলোতে স্বাস্থ্য সংকট দেখা দিচ্ছে। বায়ু দূষণ, পানিবাহিত রোগ, এবং তাপদাহের কারণে মানুষের জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ঢাকা শহরে বায়ু দূষণের মাত্রা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা শ্বাসকষ্টজনিত রোগ এবং ফুসফুসের সমস্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
এছাড়া, অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কারণে শহরের জলাশয়গুলো দূষিত হচ্ছে, যা পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়িয়ে দিচ্ছে। ডায়রিয়া, কলেরা, এবং হেপাটাইটিসের মতো রোগগুলো শহরাঞ্চলে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, যা স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে।
শহরায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সমাধান
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং শহরায়নের ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের বড় শহরগুলোর জন্য কিছু সমাধান এবং কৌশল গ্রহণ করা যেতে পারে।
১. টেকসই নগরায়ন পরিকল্পনা
বড় শহরগুলোতে টেকসই নগরায়ন নিশ্চিত করতে সুষ্ঠু নগর পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি। শহরগুলোর জমির ব্যবহার, পরিবেশ সুরক্ষা, এবং নাগরিক সুযোগ-সুবিধার সমন্বয় সাধন করে পরিকল্পনা করা উচিত। এতে করে শহরের পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা হবে এবং নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।
শহরায়ন পরিকল্পনার আওতায় সবুজ এলাকা সংরক্ষণ, জলাশয় এবং খাল পুনঃখনন, এবং পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এছাড়া, নগর পরিবহনে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং কার্বন নিঃসরণ কমাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
২. জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর উদ্যোগ
বড় শহরগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় খাপ খাওয়ানোর কৌশল গ্রহণ করা জরুরি। এর মধ্যে রয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য উন্নত নিষ্কাশন ব্যবস্থা, এবং পানি সংরক্ষণের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।
ঢাকা এবং চট্টগ্রামের মতো শহরগুলোতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ, খাল পুনঃখনন, এবং জলাধার সংরক্ষণ করে বন্যার ঝুঁকি হ্রাস করা যেতে পারে। এছাড়া, পানির অপচয় রোধে এবং পুনঃব্যবহারের জন্য নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিগত সমাধান গ্রহণ করা প্রয়োজন।
৩. স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন
বড় শহরগুলোতে জনস্বাস্থ্য রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন করা জরুরি। স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র এবং হাসপাতালগুলোর পরিকাঠামো উন্নয়ন, প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ, এবং জরুরি স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা প্রয়োজন।
এছাড়া, শহরাঞ্চলে বায়ু দূষণ এবং পানিবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। নাগরিকদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি এবং রোগ প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে অবহিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
৪. আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং টেকসই উন্নয়ন
জলবায়ু পরিবর্তন এবং নগরায়নের প্রভাব মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য। উন্নত দেশগুলোর সহায়তায় উন্নয়নশীল দেশগুলোতে টেকসই নগরায়ন এবং জলবায়ু খাপ খাওয়ানোর কৌশল বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।
বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘ, এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় বাংলাদেশের বড় শহরগুলোতে টেকসই উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব। এছাড়া, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত জ্ঞান এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরিত করে শহরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
উপসংহার
বাংলাদেশের বড় শহরগুলোতে নগরায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সময়ের দাবী। অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব শহরের পরিবেশ, অর্থনীতি, এবং জনস্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় টেকসই নগরায়ন, খাপ খাওয়ানোর কৌশল, এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
শহরায়ন প্রক্রিয়ায় পরিবেশের সুরক্ষা এবং নাগরিক সুযোগ-সুবিধার সমন্বয় সাধন করে টেকসই উন্নয়নের পথ বেছে নেওয়া উচিত। শুধুমাত্র পরিকল্পিত এবং টেকসই নগরায়নের মাধ্যমে আমরা আমাদের বড় শহরগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে রক্ষা করতে এবং একটি নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর, এবং উন্নত নগর জীবন নিশ্চিত করতে পারব।
এই প্রবন্ধে নগরায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্যে সম্পর্ক এবং বড় শহরগুলোর জন্য সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের বড় শহরগুলোতে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা একটি সবুজ, সুস্থ, এবং স্থিতিশীল নগর জীবন গড়ে তুলতে পারব।