গ্রাফিক্স ডিজাইন হচ্ছে কোনো একটি ম্যাসেজ বা তথ্যকেসৃজনশীলতা দিয়ে রঙ, রেখা ও বিভিন্ন সেপের মাধ্যমে মানুষেরসামনে তুলে ধরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এখন এই তথ্য বা ম্যাসেজগুলো হয় মার্কেটিং সম্পর্কিত।
গ্রাফিক্স ডিজাইন হল একটি আর্ট বা শিল্প।এখানে একজনশিল্পী কম্পিউটার সফ্টওয়্যার এর মাধ্যমে কল্পনা, তথ্য এবংগ্রাহকদের ধারণা গুলির সাথে যোগাযোগ করার জন্য, দৃশ্যমানধারণা তৈরি করে। গ্রাফিক্স শব্দটি জার্মান শব্দ থেকে এসেছে।এক কথায় চিত্র দ্বারা নকশা তৈরি করাকে গ্রাফিক্স ডিজাইনবলা হয়। এটি এমন একটি জনপ্রিয় এবং সৃজনশীল প্রক্রিয়াযেখানে আপনি নিজের ক্রিয়েটিভিটিকে প্রফেশনে বদলে দিতেপারেন।
মার্কেটিং বাদেও বিভিন্ন সেক্টর রয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইনেরআওতায়। গার্মেন্টস সেক্টর তার মধ্যে অন্যতম। গার্মেন্টসখাতের যেকোনো পণ্য তৈরি করার আগে এর ডিজাইন করতেহয়।
আর আপনি জেনে থাকবেন যে বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টরপৃথিবী বিখ্যাত। তাই এ খাতে যোগ দিলে সেটি আপনারক্যারিয়ারের জন্য খুবই উপকারী হবে।
আপনি বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানিতে কাজের সুযোগ পাবেন যদিদক্ষ ডিজাইনার হতে পারেন। পাশাপাশি আপনি ফ্রিলান্সিংকরেও অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
এছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারিপ্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কাজে এই ডিজাইনিং প্রয়োজন হয়।
ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রাফিক্স ডিজাইন কেন এতো জনপ্রিয়?
ক্যারিয়ার হিসেবে এই গ্রাফিক্স ডিজাইনিং কেন এতো জনপ্রিয়তা অনেক মানুষেরই কৌতূহল। আসলে সত্যি কথা বলতেগেলে এর অসংখ্য কারন রয়েছে। যে কেউই চাইবে এমন একটিপেশা নির্ধারণ করার জন্য যার ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল। চলুনদেখে আসি গ্রাফিক্স ডিজাইন ক্যারিয়ার হিসাবে কেন এতোজনপ্রিয়ঃ
সৃজনশীল পেশা
গ্রাফিক্স ডিজাইন পরিপূর্ণরুপে একটি সৃজনশীল পেশা। এইপেশায় আপনার সৃজনশীলতাই আপনার মূল হাতিয়ার, পুঁথিগত বিদ্যা এখানে তেমন একটা কাজে আসে না। আপনিযদি সৃজনশীল না হন, তাহলে আপনি এই সেক্টরে উন্নতিকরতে পারবেন না।
গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিভিন্ন সফটওয়্যারের ব্যবহার সঠিকভাবেনা জানলে আপনি আপনার সৃজনশীলতা সঠিকভাবে ফুটিয়েতুলতে পারবেন না। আপনাকে অনেক চর্চা এবং ধৈর্য্যের সাথেবিভিন্ন প্রজেক্ট করতে হবে নিজের কাজের পারদর্শিতা বাড়িয়েনেয়ার জন্যে।
আপনি হয়ত অনেক ডিজাইন অনলাইনে পাবেন, কিন্তুনিজেকে যদি সেই ফ্রি ডিজাইনগুলোর মধ্যেই আটকে রাখেনতাহলে আপনার জন্যে এই পেশা নয়। আপনাকে নিজেকেশেখার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে।
আপনি যত বেশি সৃজনশীলতার সাথে আপনার আইডিয়াফুটিয়ে তুলতে পারবেন ততই আপনার কাজের কোয়ালিটিউন্নত হবে। আপনি যদি আপনার সৃজনশীলতাকে স্বাধীনভাবেফুটিয়ে তুলতে ভালবাসেন তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইন পেশায়আপনি উন্নতি করতে পারবেন।
উচ্চতর চাহিদা
বর্তমান বিশ্বে ভিজুয়াল কনটেন্ট সব থেকে বেশি পপুলার হচ্ছে।সাথে সাথে গ্রাফিক্স ডিজাইনও অনেক বেশি চাহিদাপূর্ণ হয়েউঠছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে ওয়েবসাইটের কাজেরজন্যে এখন গ্রাফিক্স ডিজাইন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বেড়ে চলেছে, কারন এই ইন্ডাস্ট্রিতে পেশাগত মানুষ হাতে গোনা। আপনি যদিনিজেকে এই কাজে পারদর্শী করে তুলতে পারেন তাহলে বিশ্বেরঅনেক বড় বড় কোম্পানিতে চাকরি পেতে পারেন। যেখানেআপনার বেতনের পরিমাণ তুলনামূলক অনেক বেশি।
বাড়িতে বসে কাজের সুযোগ
গ্রাফিক্স ডিজাইন সেক্টরে কাজ করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে,আপনি যেকোন জায়গায় বসে এই কাজ করতে পারেন।আপনাকে কোন অফিসে বসে কাজ করতে হবে না। আপনিচাইলে ঘরে বসে কাজ করতে পারেন।
শুধু মাত্র একটি ল্যাপটপ ও প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ইনস্টলকরেই আপনি কাজ শুরু করতে পারবেন যেকোন জায়াগায়বসে। এই পেশাটা সম্পূর্ণরূপে কাজের পারদর্শিতার উপরেনির্ভর করে বলে, শিক্ষাগত যোগ্যতা খুব বেশি জরুরী হিসাবেধরা হয় না। আপনি যদি পারদর্শী হন, তাহলেই আপনি এইসেক্টরে কাজ করতে পারবেন।
কাজের স্বাধীনতা
গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা স্বাভাবিকভাবে স্বাধীনচেতা হন। তারাস্বাধীনভাবে কাজ করতে ভালবাসেন। আপনি যদি ইচ্ছা করেনতাহলে আপনি নিজে নিজেই এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতেপারেন। আপনি নিজের পোর্টফোলিও ব্যবহার করে বিভিন্নক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করে নিজেই কাজ করতে পারেন।
আপনি অনলাইনে অনেক প্লাটফর্ম পাবেন যেখানে আপনিনিজের একাউন্ট ক্রিয়েট করে নিজের কাজগুলো প্রদর্শন করেরাখতে পারেন। আপনার কাজ দেখে যদি কারো ভাল লাগেতাহলে তারাই আপনার সাথে যোগাযোগ করবে তাদেরপ্রোজেক্টে কাজ করার জন্যে।
আপনি যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতে চান তাহলে আপনিগ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে এখনই কাজ শুরু করে দিতে পারেন।ঘুড়ি লার্নিং এর গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্সে এখনই রেজিস্ট্রেশনকরুন এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখা শুরু করে দিন।
অধিক আয়ের সুযোগ
যেহেতু বর্তমান বিশ্ব ভিজুয়্যাল কন্টেন্ট এর দিকে ঝুকে পড়ছে, আপনি চাইলে এখনই গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে অধিক আয়নিশ্চিত করতে পারেন। আপনি হয়ত জানেন না যে অনেককোম্পানি আছে যারা শুধুমাত্র লোগো ডিজাইন করার জন্যেলক্ষ্ লক্ষ টাকা ব্যয় করে।
আপনি যদি ভালোভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারেনতাহলে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করতেপারবেন। এছাড়া বিভিন্ন ই-কমার্স কোম্পানি আছে যারা তাদেরপ্রোডাক্টগুলো ভালোভাবে তাদের ওয়েবসাইটে ফুটিয়ে তুলতেগ্রাফিক্স ডিজাইনারদের সাহায্য নিয়ে থাকে।
চাকরির সুযোগ
গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসাবে আপনি দেশি বিদেশি বিভিন্নকোম্পানিতে কাজ করতে পারবেন। বিদেশি কোম্পানিগুলোতেকাজ করার চেয়ে সব থেকে বেশি ভালো হয় যদি আপনি বিভিন্নফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করা শুরু করেন।
কারন একবার কাজ করতে থাকলে বিভিন্ন দেশের ক্লায়েন্টদেরসাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি হবে এবং তাদের মাধ্যমেই বিভিন্নদেশের কোম্পানির সাথে কাজের সুযোগ পাবেন।
পাশাপাশি আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসাবে দেশিকোম্পানিতে কাজ করতে চান, তাহলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেইআপনাকে গ্রাজুয়েট হতে হবে এবং এই বিষয়ক সার্টিফাইডকোর্স করতে হবে।
তবে অনেক দেশি কোম্পানিও এখন একাডেমিক যোগ্যতারথেকেও দক্ষতার উপরেই বেশি ফোকাস দিচ্ছে। আপনি চাইলেওইসব কোম্পানিতে কাজ করতে পারেন।
প্রতিভা দেখানোর সুযোগ
আমরা সকলেই জানি বাংলাদেশে প্রতিভা দেখানোর সুযোগকম। সুযোগ থাকলেও সেগুলার তেমন মূল্যায়ন হয় না।গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখলে আপনি দেশি বিদেশি বিভিন্নকোম্পানির সাথে কাজ করতে পারবেন।
সেক্ষেত্রে আপনার যদি প্রতিভা থাকে, তাহলে সেটা দেখানোরক্ষেত্রে কোনো অসুবিধায় পড়তে হবে না। আপনি যথাযথমূল্যায়নও পাবেন। আপনার প্রতিভা গুলো চাইলেপোর্টফোলিও আকারে মার্কেটপ্লেসগুলোতে প্রদর্শন করতেপারবেন। সেগুলো দেখে ক্লায়েন্ট আপনাকে খুব সহজেই খুঁজেনিতে পারবেন।
উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজন নাই
গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য আপনাকে কোনো উচ্চতরডিগ্রিধারী হওয়া লাগবে না। মার্কেটপ্লেসগুলোতে অনেক মানুষআছে যারা স্কুলের গন্ডিও ঠিক করে পার করতে পারেন নি। ছাত্রথেকে শুরু করে গৃহিণীরা পর্যন্ত এখন গ্রাফিক্স ডিজাইন এরকাজের সাথে সংযুক্ত।
এখানে তেমন কোনো রিকোয়ারমেন্ট থাকে না এডুকেশনালব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে। তাই আপনি খুব বেশি একটা শিক্ষিত নাহয়েও গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে ভালো একটা ক্যারিয়ার গড়তেপারেন। এখানে কেউ আপনার কাছে শুনতে চাইবে না যেআপনি কতটা শিক্ষিত। এখানে আপনার ক্লায়েন্টরা শুধুদেখতে চাইবে আপনার দক্ষতা।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও সম্মানজনক আয়
আরও বড় একটি আশার বাণী হচ্ছে এই খাতের ভবিষ্যতসম্ভাবনা অনেক বেশি। বর্তমানে এমন একটি সময় এসে গেছেযেখানে আমরা মার্কেটিং বলতে শুধু মাত্র ডিজিটালমার্কেটিংকেই বুঝি।
একটা সময় এর মাত্রা ও আওতা আরও বাড়বে। নতুন নতুনডিজিটাল মার্কেটিং এর মেথড বের হবে যেগুলো মুলত গ্রাফিক্সডিজাইন এর উপরে নির্ভরশীল হবে। তাই যারা এই সেক্টরেনিজেদের ক্যারিয়ার দাঁড় করানোর কথা ভাবছেন, তারানিঃসন্দেহে অনেক সুদূরপ্রসারী একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
একদম শুরুতে একজন স্কিলফুল গ্রাফিক্স ডিজাইনারঅনায়াসে দেশীয় কোম্পানি থেকে মাসে ১০-২০ হাজার টাকাআয় করতে পারে।অভিজ্ঞতা ভেদে আয়ের ভিন্নতা আসে যেমনএকজন অভিজ্ঞ গ্রাফিক্স ডিজাইনার মাসে ৫০ হাজার থেকে ১লক্ষ টাকা অনায়াসে আয় করতে পারে।অনেকে দীর্ঘ কাজকরার পর নিজের এজেন্সি শুরু করে তখন সে একই সাথে দেশীএবং বিদেশী ক্লাইন্টদের সাথে কাজ করে মাসে ৭-৮ লক্ষ টাকাআয় করতে পারে।
গ্রাফিক ডিজাইনের কাজের ধরণ
প্রথমত গ্রাফিক্স ডিজাইন ২টা ভাগে বিভক্ত
১।স্টিল ইমেজ গ্রাফিক্স
২।মোশান গ্রাফিক্স
স্টিল ইমেজ গ্রাফিক্স আবার মুলত ৩ রকম ঃ
১।রাস্টার ইমেজ(পিক্সেল বেসিস)
২।ভেক্টর ইমেজ(পিক্সেল ইন্ডিপেন্ডেন্ট)
৩।টাইপোগ্রাফি(২রকমের হয়ে থাকে)
মোশান গ্রাফিক্স প্রধানত ২ প্রকার
১।এনিমেশান গ্রাফিক্স
২।ভিডিও গ্রাফিক্স
অনেকেই এনিমেশানকে গ্রাফিক্সের অন্তর্ভুক্ত মনে করেন নাহ।কারন এনিমেশান হছে Create something from nothing অন্যদিকে গ্রাফিক্সের জন্যে কিছু না কিছু স্টক লাগেই।তবেবর্তমানে এনিমেশান বা ভিডিও গ্রাফিক্স এটাকেও গ্রাফিক্সেরঅন্তর্ভুক্ত ধরা হচ্ছে।এটা মুলত ২ ধরনের হয় 2D আর 3D।বর্তমানে 3D এনিমেশানের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।ভিডিওগ্রাফিক্স নিয়ে অনেক কিছুই করা যায়।মুলত টিভির বিজ্ঞাপনেরকাজ করাই এর প্রধান কাজ।এর মধ্যেই আছে ইনফো গ্রাফিক্সআর আর সিনেমাটোগ্রাফি।
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখা শুরু করতে চাইলে যে টুলস গুলোসম্পর্কে জানতে হবে
১)PHOTOSHOP(PS)
গ্রাফিক ডিজাইনের জগতে Adobe একটি পরিচিতসফটওয়্যার। গ্রাফিক নিয়ে কাজ করেও Adobe Photoshop ব্যবহার করেন না এমন মানুষ হয়ত খুঁজেই পাওয়া যাবে নাকারন যারা গ্রাফিকাল কাজগুলো করেন তাদের কাছেPhotoshop অন্যতম একটি সফটওয়্যার।
গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রতিটি ধাপেইআপনাকে ফটোশপ ব্যবহার করতে হবে। যেমন ধরুন আপনারপুরনো একটি ফটো রিটাচিং করতে হবে, ছবির রং পরিবর্তনকরতে হবে, এক্ষেত্রে আপনি Photoshop(Ps) এর মাধ্যমে খুবসহজেই এই কাজটি করতে পারবেন। এছাড়াও Adobe Ps এরমাধ্যমে আপনি ছবিতে বিভিন্ন ধরনের ইফেক্ট এড , ফটোম্যানুপোলিশন সহ আরো অনেক কিছুই করতে পারবেন।সুতরাং গ্রাফিক ডিজাইনের শুরুটা আপনি ফটোশপের বেসিককিছু টুলস দিয়েই শুরু করতে পারবেন।
২)ADOBE ILLUSTRATOR (AI)
Adobe সফটওয়্যারের আরেকটি জনপ্রিয় অ্যাপলিকেশনসফটওয়্যার হল- Adobe illustrator. গ্রাফিক ডিজাইনের কাজকরতে গেলে আপনাকে ইলাস্ট্রেটর দিয়ে কি কি করতে পারবেনতা সম্পর্কে জানতে হবে।
Adobe illustrator এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের কার্ডযেমন- ভিজিটিং কার্ড, ইনভাইটেশন কার্ড, বিজনেস কার্ড সহপোস্টার, লিফলেট, বইয়ের কাভার পেজ, ব্যানার ইত্যাদিডিজাইন করতে পারবেন। এছাড়াও আমরা অনেক সময়বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা ভিডিও তে ক্যারেকটার বা কার্টুন দেখেথাকি। এ সকল ক্যারেকটার ডিজাইন এবং সকল ধরনেরডিজাইনের বিভিন্ন শেইপও আপনি Adobe illustrator(Ai)দিয়ে খুব সহজেই করতে পারেন।
৩)INDESIGN(ID)
Adobe এর বিশেষ একটি বৈশিষ্ট্য হল এটি এমন একটিসফটওয়্যার যা প্রতিটি ডিজাইন ফাংশনের জন্য আলাদা ভাবেকিছু অ্যাপলিকেশন সফটওয়্যার তৈরী করেছে ৷ Adobe Indesign তার মধ্যে একটি ৷
আমরা অনেকেই পেইজমেকার সম্পর্কে জানি, আবারঅনেকেরই হয়ত এ সম্পর্কে একদমই ধারনা নাই।। Adobe Indesign (In) সেরকমই একটি অ্যাপলিকেশন সফটওয়্যারIndesign এর মাধ্যমে আপনি সকল ধরনের প্রিন্টিংম্যাটেরিয়ালের কাজ করতে পারবেন ৷ যেমন ধরুন – বই, নিউজপেপার, ম্যাগাজিন,ই-বুক বা যেকোন লেখার কাজ এবংসেগুলো খুব সহজেই ছাপাতে পারবেন।
৪)ADOBEXD(XD)
গুগলে সার্চ করলেই আমরা আকর্ষণীয় কিছু ওয়েবসাইট দেখতেপাই ৷ শুধু কি তাই? মোবাইলের অ্যাপসগুলো দেখেও আমরামাঝে মাঝে বেশ মুগ্ধ হই৷ ওয়েবসাইট অথবা মোবাইল এপসেরএই ডিজাইনগুলো কোন না কোন প্রফেশনাল UI/UX ডিজাইনার দিয়ে করা হয়।
ওয়েবসাইটের ইউজার ইন্টারফেজ, মোবাইল এপসের এইডিজাইন সহ ইউজার এক্সপেরিয়েন্সের কাজগুলো এবংঅন্যান্য ওয়্যারফ্লেম, প্রটোটাইপিং এর কাজগুলোও Adobe xd দিয়ে করতে পারবেন। সুতরাং আমরা বুঝতেই পারছি যে-কেউযদি ইউজার ইন্টারফেস (UI) ডিজাইন করতে আগ্রহী হয়েথাকে সে খুব সহজেই Adobe Xd এবং Adobe Xd এরফাংশনগুলো ব্যবহার করে নিজের পছন্দমত একটি UI/UX design তৈরী করতে পারবে।
৫)FIGMA
Adobe xd এর মত Figma তেও আপনি ইউজার ইন্টারফেজডিজাইন, এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্স (UI) এর কাজ করতেপারবেন ৷ মোট কথা, আপনি যদি বেসিক গ্রাফিক জানার পরআরো এডভান্সড কিছু ডিজাইন বা প্রফেশনাল ডিজাইনেরকাজ করতে চান তাহলে গ্রাফিক ডিজাইনের বিস্তর ধাপ Ul/ UX ডিজাইনের কাজগুলো করতে পারবেন Figma এর মাধ্যমে৷ আর Figma হল Ul/UX এর জন্য সবচেয়ে কার্যকরীসফটওয়্যার যেটি Adobe Xd এর চেয়েও অধিক উন্নত ৷ কারনFigma তে আপনি ডিজাইনের জন্য অনেক বেশী টুলস, এলিমেন্ট এবং প্লাগইন সহ আরো প্রয়োজনীয় সব কিছূই পেয়েযাবেন ৷
৬)PREMIER PRO(PR)
গ্রাফিক্স ডিজাইন মানে নতুন মাত্রায় একটি ভিজুয়ালাইজেশনক্রিয়েট করা আর সেটা যে শুধুমাত্র ফটো দিয়েই সম্ভব তা কিন্তুনয়l ধরুন আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের কোন একটি প্রডাক্টেরভিডিওগ্রাফি করতে চান ৷
আপনার ক্যামেরার প্রতিটি শট যে একদম নিখুঁত হবে তা কিন্তুনয়। এই ভিডিওটিতে হয়ত অনেক কিছু এড করতে হতে পারেআবার হয়ত ভিডিও থেকে কিছু শট কাট করতে হবে। এক্ষেত্রেআপনি চাইলেই Premier pro ব্যবহার করে খুব সুন্দর একটিভিডিও এডিট কার ফেলতে পারবেন। এছাড়াও Pr সফটওয়্যারেআপনি বেশ কিছু ফিচার এবং এলিমেন্টস পাবেন যেগুলোভিডিওটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে ৷
৭)AFTER EFFECT(AE)
ভিডিওগ্রাফির কাজগুলো যে শুধু Pr দিয়েই করতে হবে তা কিন্তুনয়। আপনি চাইলেই ভিডিও এডিটিং এর কাজগুলো After Effect সফটওয়্যারের মাধ্যমেও করতে পারবেন ৷ After Effect (Ae) তে আপনি আরো কিছু এক্সট্টা সুবিধা পাচ্ছেন যেমন- আপনি এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভিডিও এডিটিং ছাড়াও 2D, 3D ভিডিও মেকিং , প্রোডাক্টের এড ও প্রমোশনের কাজগুলোওঅত্যন্ত সফলভাবে করতে পারবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর বেশ কয়েকটি মূলনীতি রয়েছে, সেগুলোহলো-
ব্যালেন্স (balance) বা সমতা
কনট্রাস্ট (contrast) বা বৈপরীত্য
এম্ফেসাইজ (emphasize) বা গুরুত্ব
মুভমেন্ট (movement) বা গতিবিধি
প্রোপোর্শন (proportion) বা অনুপাত
রিদম (rhythm)
প্রযুক্তির জগতে নিজেকে একজন সফল গ্রাফিক্স ডিজাইনারহিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে এই নীতিগুলো মেনে চলারকোন বিকল্প নেই। কেননা, এই মূলনীতিগুলো একটিডিজাইনকে শুধু স্থিতিশীলতাই নয়, বরং একটি সুনির্দিষ্ট নিয়মও কাঠামোর মাঝে রাখতে সাহায্য করে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন করার সফটওয়্যার
বর্তমান সময়ে অন্যতম পাঁচটি গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যারহলো
1. ADOBE CREATIVE SUITE
এই সফটওয়্যার বান্ডলটির মাঝে আপনি পেয়ে যাচ্ছেন গ্রাফিক্সডিজাইন এর বেশ কয়েকটি উপকারী সফটওয়্যার। এগুলোরমাঝে Adobe photoshop, Adobe InDesign, Adobe illustrator ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
2. AFFINITY DESIGNER
Adobe illustrator এর তুলনায় বেশ সহজলভ্য এই গ্রাফিক্সডিজাইন সফটওয়্যারটিতে রয়েছে ভার্সেটাইল গ্রিড সিস্টেম(versatile grid system), Accurate zoom Feature এরসুবিধা।
3. INKSCAPE
যারা গ্রাফিক্স ডিজাইনয়ে একেবারেই নতুন, কিংবা শখের বশেGraphic Design শুরু করতে চান, তাদের জন্য এইসফটওয়্যারটি বেশ কাজের।
আরেকটি সুবিধা হলো, আপনি যদি Adobe photoshop বাAdobe illustrator এ দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে Inkscape এক্সেস করা আপনার জন্য ব্যাপারই না।
4. GNU IMAGE MANIPULATION PROGRAM (GIMP)
এই দারুণ Graphic design সফটওয়্যারটিকে নিয়ে বলে শেষকরা যাবেনা। এতে রয়েছে বিনামূল্যেই অনেক ফটোশপ ফিচারএক্সেস করার সুযোগ। এছাড়াও যারা কোডিং এ পারদর্শী, তারাএই সফটওয়্যারটিকে তাদের মনমত কাস্টমাইজ করে নিতেপারবেন।
এর আরেকটি সুবিধা হল, এটি windows ছাড়াও Linux, macOS, BDS ইত্যাদি অপারেটিং সিস্টেমে ইন্সটল করা যায়।
5. XARA DESIGNER PRO X
তুখোড় কর্মদক্ষতার অধিকারী এই গ্রাফিক্স ডিজাইনিংসফটওয়্যারটিতে আপনি পাচ্ছেন ওয়েবসাইট এবং প্রিন্টডিজাইন এর জন্য বেশকিছু নান্দনিক ইলাস্ট্রেশন টুলস।
এছাড়াও এই সফটওয়্যার থেকে আপনি ড্রপবক্স (Dropbox) এবং গুগল ড্রাইভে যেকোন ফাইল sync ও করতে পারবেন।
গ্রাফিক ডিজাইন শেখার ওয়েব সাইটের তালিকা……
গ্রাফিক্স ডিজাইনার টিপস: ধারাবাহিক ভাবে টিউটোরিয়াল, রিসোর্স ও অনলাইন প্রশিক্ষণেরজন্য এই সাইটি প্রচুরজনপ্রিয়। বলাযায় এটি গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার অন্যতমসেরা ওয়েবসাইট : http://graphicdesignertips.com/
ফটোশপ স্টার: এই সাইটি অনেক আগের । ১৭ বছর ধরেসফল ভাবে কাজকরছে এই সাইটি। ডিজাইনাদের জন্যগুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছুরয়েছে। ওয়েবসাইট: http://www.photoshopstar.com/
দ্য ফটোশপ রোড ম্যাপ: গ্রাফিক্স ডিজাইনের সেরাটিউটোরিয়ালগুলো পেতে এইসাইট অনন্য। ওয়েব: http://www.photoshoproadmap.com/
পিএসডি টুটস: পিএসডি টাট+ ফটোশপ ভিত্তিকসবচেয়েজনপ্রিয় ও বৃহৎওয়েবসাইট। সম্পূর্ণ ওয়েবসাইটটি ফটোশপকেন্দ্রিককরে তৈরী করা হয়েছে। ওয়েবসাটি: http://psdtuts.com/
লুন ডিজাইন: যারা ফটোশপে কাজ করেন। তাদের জন্য এইসাইটি। ওয়েব: http://kailoon.com/
ফুয়েল ব্রান্ড নেটওয়ার্ক: ফুয়েলব্রান্ড নেটওয়ার্কে ওয়েবডিজাইনিং সম্পর্কিত বিভিন্নআপডেট, টুলস, বিভিন্ন খবরাখবরদেওয়া হয়। ওয়েব: http://www.fuelbrandnetwork.com/
ফটোশপ টিউটর: এটিও টিউটোরিয়াল ও রিসোর্সের জন্যআরেকটিজনপ্রিয় ওয়েবসাইট। ওয়েব: http://www.pstut.info/
কম্পিউটার আর্টস: ১৫ ডলারের এইম্যাগাজিনটির কিছুঅংশসাইটটি থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায়। ওয়েব: http://www.computerarts.co.uk/tutorials
দ্য বেস্ট ডিজাইনস: বেস্ট ডিজাইনস এবং ওয়েবডিজাইনিং এরওপর আরএকটি তথ্য সমৃদ্ধ ওয়েবসাইট। বাচাইকৃত তালিকায়আরও একটি জনপ্রিয় গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার ওয়েবসাইটএটি। সাইট: http://www.thebestdesigns.com/
ফোলিও ফোকাস: ফোলিওফোকাস পোর্টফোলিওডিজাইনারদের জন্যএকটি অনুপ্রেরণামূলক ওয়েবসাইট।অসাধারণ পোর্টফোলিও সাইটগুলোর গ্যালারি হলএইওয়েবসাইটটি। ওয়েব: http://foliofocus.com/
ব্লগ ডিজাইন হিরোস: ব্লগ ডিজাইন হিরোস ও ফোলিও ফকাসএরা একই নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত। দুইটা সাইটই একই রকমও অনুপ্রেরণামূলক। ওয়েব: http://blogdesignheroes.com/
দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সেরা কিছু গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্লগ
১)লোগোড
এই ব্লগটি মূলত লোগো সম্পর্কিত। এক পেইজের এই ব্লগটিপ্রায় এক যুগ ধরে বাজার দখল করে আছে। খুবই সহজকাঠামোতে তৈরি এই ব্লগে আপনি পাবেন অনেক ধরণেরলোগো ও সেই লোগো সম্পর্কিত তথ্যাবলী। লোগোডের রিসোর্সসেকশনে লোগো তৈরী ও সে সম্পর্কিত বেশ কিছু অসাধারণআর্টিকেল রয়েছে।
২)লোগোস্পায়ার
এই ব্লগটিও লোগো সম্পর্কিত। আপনি যদি লোগো তৈরির জন্যঅনুপ্রেরণা আর ক্রিয়েটিভ ডিজাইন খুঁজে থাকেন, তাহলেলোগোস্পায়ার আপনার জন্য সেরা একটি ব্লগ। এই ব্লগেরকাঠামো ও অসাধারণ ইউজার ইন্টারফেস আপনাকে যেকোনোআর্টিকেল পড়তে বাধ্য করবে। এখানে বিভিন্ন ধরণেরক্রিয়েটিভ লোগোর পাশাপাশি ইলাস্ট্রেশন ও ইমেজ খুঁজেপাবেন, যা আপনার ডিজাইনের উদ্দীপনাকে ভেতর থেকে টেনেনিয়ে আসবে।
৩)লোগোলোগি
লোগোলোগি ব্লগটিও লোগো সম্পর্কিত, তবে এই ব্লগেরলোগোগুলো অন্যান্য ব্লগের মতো নয়। এই ব্লগের লোগোগুলোমূলত জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে আপলোড করা হয়। এই ব্লগেরলোগোগুলোর পাশেই রয়েছে ছোটো কিছু নোট, যেখান থেকেআপনি জানতে পারবেন কেনো এই লোগোটি এতোটা জনপ্রিয়আর আকর্ষণীয়। লোগো ড্রাফটস সেকশনে আপনি সেরাডিজাইনারদের অন্যান্য লোগোও দেখতে পারবেন।
৪)ব্র্যান্ড নিউ
প্রায় এক যুগ ধরে বাজারে টিকে থাকা এই ব্লগটি যদিও লোগোসম্পর্কিত, কিন্তু এই ব্লগটির ইউজার ইন্টারফেস উপরেরওয়েবসাইটগুলোর মতো নয়। আপনি যেকোনো লোগোকেডাউনলোড করে সেটাকে রিডিজাইন করতে পারবেন। কীভাবেএকটি লোগোকে রিডিজাইন করা যায় সে সম্পর্কিত তথ্যওব্র্যান্ড নিউ ব্লগে দেয়া আছে। অরিজিনাল লোগোটিরডিজাইনারের কাছে আপনার লোগোটিকে ইন্সাইটের জন্যওপাঠাতে পারবেন।
৫)লোগো পন্ড
ক্রিয়েটিভ সব লোগোর ডিজাইন দেখার জন্য লোগো পন্ডেরচেয়ে ভালো কোনো ব্লগ হতেই পারে না। সারা পৃথিবীর সবচেয়েসেরা সব লোগোগুলোর কালেকশন রয়েছে লোগো পন্ডে।বিভিন্ন ছোটোখাটো ব্যবসা থেকে শুরু করে, বড় বড় কোম্পানিরলোগো তৈরি করা ডিজাইনাররাও তাদের লোগো এখানেআপলোড করে থাকেন। আপনি নিজেও এখানে অ্যাকাউন্টখুলে আপনার তৈরি করা লোগোটি আপলোড করতে পারেন।
৬)ট্রেন্ডল্যান্ড
ফ্যাশন থেকে শুরু করে টেক সম্পর্কিত বেশ কিছু ইলাস্ট্রেশনএখানে দেখতে পাবেন। ট্রেন্ডল্যান্ডে প্রায়ই বেশ ভালো কিছুইলাস্ট্রেশন দেখা যায়। তারা বিভিন্ন ডিজাইনের ইলাস্ট্রেশনেরপাশাপাশি কলেজ ডিজাইন, ফ্যাশন ডিজাইন, ট্র্যাভেল, আর্ট, কালচার, ফটোগ্রাফি সম্পর্কিত ইলাস্ট্রেশনও আপলোড করেথাকে। ট্রেন্ডল্যান্ডের ভিডিও সেকশনে আপনি ইলাস্ট্রেশনসম্পর্কিত বেশ ভালো কিছু ভিডিও ব্লগ পেতে পারেন।
৭)বুম
ক্যানাডিয়ান এই ইলাস্ট্রেশন সম্পর্কিত ব্লগে আপনি দেখতেপাবেন ক্রিয়েটিভিটির প্রকৃত চেহারা। কারণ, এই ব্লগটিতেযেসব ইলাস্ট্রেশন আপলোড দেয়া হয় সেগুলো আপনারউদ্দীপনা আর ক্রিয়েটিভিটিকে জাগিয়ে তুলতে সহায়তা করবে।বুমের শপ সেকশন থেকে আপনি এসব ইলাস্ট্রশন ক্রয় করতেপারবেন। তাদের প্রজেক্ট সেকশনে আপনি বিভিন্ন ধরণেরপ্রজেক্ট পাবেন, যেগুলোতে কাজ করছেন বিশ্বের নামকরা আরক্রিয়েটিভ ডিজাইনাররা।
৮)গ্রেইন এডিট
বর্তমান ট্রেন্ডের সাথে চলার মতো ইলাস্ট্রেশন যদি খুঁজতেথাকেন, তাহলে গ্রেইন এডিট আপনার জন্য মোক্ষম ওষুধহিসেবে কাজ করবে। এখানকার বেশিরভাগ ডিজাইনাররাইট্রেন্ডের সাথে চলার মতো ডিজাইন করে থাকেন, যার ফলেআপনাকে ট্রেন্ড নিয়ে আর ভাবতে হবে না। আপনি নিজেওএখানে ইলাস্ট্রেটর হিসেবে চাকরির জন্য আবেদন করতেপারবেন।
৯)উই লাভ টাইপোগ্রাফি
টাইপোগ্রাফি সংক্রান্ত যেকোনো কন্টেন্ট পাবেন এই ব্লগে। উইলাভ টাইপোগ্রাফিতে রয়েছে টাইপোগ্রাফির এক বিশালকালেকশন। তাদের ওয়েবসাইটের অসাধারন ডিজাইন আরইউজার ইন্টারফেস আপনাকে টাইপোগ্রাফির নেশায় ফেলেদিতে পারে। যেকোনো অবস্থায় আপনাকে মোটিভেট করারজন্য এই ব্লগের কন্টেন্টগুলোর জুড়ি নেই।
১০)ইনক্রেডিবল টাইপস
সারা পৃথিবীর সেরা সব ডিজাইনার ও টাইপোগ্রাফারদেরডিজাইন রয়েছে এখানে। এই ওয়েবসাইটের ইউজার ইন্টারফেসসম্পূর্ণ সাদা-কালো, যা ব্লগটিকে দিয়েছে অসাধারণ একমাধুর্যতা। টাইপোগ্রাফিগুলোও সাদা-কালোতে তৈরি করাহয়েছে। যদি আপনি ইনক্রেডিবল টাইপসের বিভিন্ন অপশনে ওটাইপোগ্রাফিগুলোতে ক্লিক করেন তাহলে এগুলো তাদের প্রকৃতরঙ ফিরে পায়।
১১)টাইপ এভ্রিথিং
কখনো যদি বিভিন্ন ধরণের, বিভিন্ন ডিজাইনের, বিভিন্ন আকারও রঙয়ের ফন্ট তৈরি করার কথা ভেবে থাকেন, তাহলেআপনার স্বপ্ন পূরণ হয়ে গিয়েছে। টাইপ এভ্রিথিং এমন একটিব্লগ যেখান থেকে আপনি বিভিন্ন নামকরা ও বিখ্যাত আর্টিস্টেরতৈরি ফন্টের ডিজাইন দেখতে পারবেন। বিভিন্ন ফন্ট সম্পর্কিততথ্য ও বিভিন্ন ডিজাইনের ফন্ট ক্রয় করতে চাইলে এই ব্লগআপনার জন্য একেবারে উপযুক্ত একটি প্লাটফর্ম।
১২)ডিজাইন্সপিরেশন
বিভিন্ন অ্যালবাম কাভার, বইয়ের কাভার, সিডি বা ডিভিডিরকাভার, এমনকি যেকোনো রিটেইল দোকানের প্যাকেটেরডিজাইনের আইডিয়া পাওয়া যাবে এখান থেকে।ডিজাইন্সপিরেশন ব্লগে রয়েছে অসাধারণ ও ক্রিয়েটিভ সবপ্যাকেজিং ও কাভার ডিজাইন।
১৩)প্যাকেজিং ডাইজেস্ট
যদিও এই ব্লগটি মূলত কর্পোরেট ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল বিভিন্ন পণ্যেরপ্যাকেটের ডিজাইনের ক্ষেত্রে কাজ করে কিন্তু এর ব্লগ সেকশনথেকে আপনি ইন্ডাস্ট্রিয়াল সব প্যাকেটের অসাধারণ ডিজাইনআইডিয়া ও সেগুলোর তথ্য জানতে পারবেন। নারীদের জন্যওপ্যাকেজিং ডাইজেস্ট অসাধারন কাজ করছে।
ইউটিউব থেকে ভাল মানের গ্রাফিক ডিজাইন শিখার উপায়
ইউটিউবে আপনি নিজেই সহজে সার্চ দিয়ে বের করতেপারবেন। যেভাবে করতে হবে…..
১। গ্রাফিক ডিজাইন বাংলা অথবা বাংলা গ্রাফিক ডিজাইনটিউটোরিয়াল লিখে সার্চ
দিবেন।
২। ফিল্টার গিয়ে এই বছরের টা সিলেক্ট করবেন।
৩। প্রথম ১০ টা চ্যানেল দেখবেন। যেগুলোতে ভালটিউটোরিয়াল দেওয়া আছে।
৪। যে ভিডিওগুলো বেশি ভিউ হয়েছে ওই গুলো দেখবেন।
৫। সিলেক্টকৃত টিউটোরিয়ালগুলোর প্লেলিস্ট দেখবেন সাজানোআছে কি না।
৬। কমেন্টগুলো মনোযোগ দিয়ে দেখবেন।
৭। কমেন্ট এর রিপ্লাই দিয়েছে কিনা তা দেখবেন।
৮। সোস্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন পোস্ট ও কমেন্টর এর রিপ্লাইদেখবেন।
আশাকরি এইভাবে আপানি ভাল মানের টিউটোরিয়াল খুজেপাবেন।
তাহলে আর দেরি নয়
আজই শুরু করুন
গ্রাফিক ডিজাইন
শেখার নিরন্তর চেষ্টা
সব ভবিষ্যৎ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য রইল নিরন্তর শুভকমনা।