আফতাব আহমেদ একাদশে আসার পর থেকেই যেন আমূল বদলে গেছে বাংলাদেশ লিজেন্ডসের ব্যাটিং। আগের ম্যাচে আফতাব খেলেছিলেন ২১ বলে ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস।
এবার ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ছিলেন আরও মারমুখী। ২৪ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেছেন আফতাব, যে ইনিংসে চারের চেয়ে ছক্কা বেশি (১টি চার, ৩টি ছক্কা)।
বাংলাদেশ ইনিংসে ছক্কাই হয়েছে ৭টি, আফতাব মেরেছেন ৩টি। একটি করে ছক্কা হাঁকিয়েছেন নাজিমউদ্দিন, মেহরাব হোসেন অপি, হান্নান সরকার এবং খালেদ মাসুদ পাইলট।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চালিয়ে খেলছিল বাংলাদেশ লিজেন্ডস। ৬ বলে ১ ছক্কায় ৯ রান করে মেহরাব অপি রানআউটের কবলে পড়েন।
৩৩ বলে ৫ চার আর ১ ছক্কায় ৩২ রান করেন নাজিমউদ্দিন। ৫০ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর আফতাব-হান্নানদের ব্যাটে একটা সময় খুব ভালো অবস্থানে ছিল লাল সবুজ জার্সিধারীরা। ৩ উইকেটেই তুলে ফেলেছিল ১৩০ রান।
আফতাব ঝড় থামার পর হান্নান ৩১ বলে ২ চার আর ১ ছক্কায় ৩৬ রান করে আউট হন। এরপর খালেদ মাসুদ পাইলট দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন। ৯ বলে ২ বাউন্ডারি আর এক ছক্কায় ১৯ রানে পৌঁছে যাওয়া উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান রানআউট হয়েছেন মোহাম্মদ রফিকের ভুলে।
নিশ্চিত দুই রান হতো, পাইলট ননস্ট্রাইক এন্ডেও চলে এসেছিলেন। কিন্তু রফিক তার জায়গা থেকে নড়েননি। আউট হয়ে রাগে গজরাতে গজরাতে মাঠ ছাড়েন পাইলট। এর কিছুক্ষণ পর রফিক ৬ বলে ৭ রান করে ক্যাচ আউট হলে পাইলট ডাগআউট থেকে তার দিকে তাকিয়েও দেখেননি, রফিক সরাসরি চলে যান ড্রেসিংরুমে।
সেই ধাক্কা না লাগলে স্কোরটা আরও বড় হতে পারতো। ৪ উইকেট ১৪৮ থেকে ৮ উইকেটে ১৫৩ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ লিজেন্ডস। অর্থাৎ ৫ রানে ৪ উইকেট হারায় তারা।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য মোটামুটি লড়াকু একটা সংগ্রহ দাঁড় করাতে পেরেছে বাংলাদেশ। রাজিন সালেহ ৪ বলে করেন ৬ রান। সবমিলিয়ে বাংলাদেশ লিজেন্ডসের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১৬০ রান।
আফ্রিকা ম্যাচ জেতে ১০ উইকেটে।