নওগাঁর নিয়ামতপুরে রাস্তা থেকে তুলে কলেজ ছাত্রীর মাথার চুল কাটার ঘটনায় রুপা (২০) নামে আরেক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে জেলার মান্দা উপজেলায় ফুফুর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রুপা এ ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি রায়হানের স্ত্রী। তাদের বাড়ি উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের ঝাজিরা গ্রামে হলেও উপজেলা সদরে বালাহৈর জামে মসজিদের কাছ ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
জানা যায়, গত ২০ সেপ্টেম্বর (রোববার) বিকেল ৫টার দিকে কলেজ ছাত্রী কম্পিউটার প্রশিক্ষণ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ি যাওয়ার পথে বালাহৈর জামে মসজিদের কাছ থেকে রায়হান ও তার তিন বন্ধু তাকে জোর করে রাস্তা থেকে তুলে তার ভাড়া বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর রায়হান ও তার স্ত্রী রূপা কলেজ ছাত্রীর মাথার চুল কেটে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। সেখানে তাকে প্রায় দুইঘণ্টা আটকে নির্যাতন করা হয়। এরপর অশ্লীল ছবি তুলে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
ওই কলেজ ছাত্রী বাড়ি যাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মামলার দিন প্রধান আসামি রায়হানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার দুইদিন পর রায়হানের স্ত্রী রুপাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়ামতপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মতিয়ার রহমান বলেন, রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে মাথার চুল কাটার ঘটনায় গত ২১ সেপ্টেম্বর কলেজ ছাত্রীর বাবা আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে রায়হানকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও দু’জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। মামলার পর রায়হানকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার জেলহাজতে পাঠানো হয়। এছাড়া রায়হানের স্ত্রী রুপাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।