সম্প্রীতি মাহমুদ »

ভারত – চীন সম্পর্কের অবনতি ফের সূচিত হল পূর্ব লাদাখ সীমান্তে। সোম এবং মঙ্গলবার চীনা আগ্রাসন রুখতে দফায় দফায় দুই সেনাবাহিনীর মুখোমুখি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল লাদাখ। সোমবার এই প্রেক্ষিতে ভেস্তে গেল চুশূল – মলদো সীমান্তে দুদেশের ঊর্ধ্বতন সেনা অফিসারদের ফ্ল্যাগ মিটিং। মায়ানমার সফর বাতিল করলেন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ও সেনাপ্রধান এম এম নাভারণ।

নয়াদিল্লিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতকে নিয়ে গঠিত চায়না স্টাডি গ্রুপে দু’ঘন্টা ধরে বৈঠকে ব্লু প্রিন্ট তৈরি করলেন। এই নীল নকশা অনুযায়ী ভারত মঙ্গলবারই পূর্ব লাদাখের একহাজার পাঁচশো সাতানব্বই কিলোমিটার এর সীমান্তে ত্রিশ হাজার সেনা সমাবেশ করেছে। বসানো হয়েছে হাউৎজার কামান, ভূমি থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র। প্যাংগং সো, রেজাঙ লা, রেকোণ লা ও স্প্যাঙ্গুর গ্যাপে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি সোম ও মঙ্গলবার বারবার ভারত ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর চেষ্টায় তা সফল হয়নি। এই দু’দিনে দুই সেনাবাহিনীর বারবার সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছে নিস্তরঙ্গ লাদাখ। মঙ্গলবার চুশূলে সীমান্তের কাছে চীন প্রচুর সংখ্যায় সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া গাড়ির সমাবেশ করেছে। কিন্তু এই গাড়িগুলো অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, লাদাখে এখন ভারত – চীন সম্পর্ক ছুরির ফলার ওপর দাঁড়িয়ে। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি যে কোন মুহূর্তে অগ্ন্যুৎপাত শুরু করতে পারে।

শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »