রিজেন্ট হাসপাতাল ও সাহেদ। অনুমোদন না থাকলেও হাসপাতালটির ছিল দুটি শাখা। যার একটি মিরপুর শাখা। করোনা পরীক্ষাসহ নানা প্রতারণায় গেলো ৮ই জুলাই অভিযান চালিয়ে সিলগালা করা হয় এ হাসপাতালটিকে।
ভবন ভাড়া নিয়ে হাসপাতাল করলেও ছিল ভাড়া বাকি। কিন্তু পরে দেখা যায় পানির বিলও পরিশোধ করেননি রিজেন্ট সাহেদ। বাকি থাকা পানির বিল নিয়ে বিপাকে ভবন মালিক।
ভবন মালিক ফিরোজ আলম চৌধুরী বলেন,’৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা এখনও পর্যন্ত পানির বিল বাকি। পানির লাইন কাটতে আসলে আমি তাদেরকে আশ্বস্ত করি যে আমি পাওনা পরিষোধ করবো। এ পর্যন্ত এক লাখ ১৫ হাজার টাকা ইতিমধ্যে আমি পরিষোধ করেছি।’
ওয়াসার বিল বিল বাকি থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে ভবন মালিকের কাছে মিথ্যা বলেছিল সাহেদ। ভবন মালিক ফিরোজ আলম চৌধুরী বলেন,’ওয়াসাতে গেছিলাম, তারা বলে ও খারাপ লোক। আমি জানতে চাই কতোদিন পর আপনারা পানির লাইন কাটেন। তারা বলেন তিন মাস। তখন আমি তাদের কাছে জানতে চাই তিন বছর হয়ে গেছে বিল বাকি পানির লাইন কেন কাটেননি।’
ভবন মালিক ফিরোজ আলম চৌধুরী আরও বলেন,’প্রথমে সে অস্বীকার করেছে। বলে বিশ/ পঞ্চাশ হাজার হতে পারে। যখন আমি বললাম প্রায় ৭ লাখ টাকা বিল বাকি, তখন বলে হতে পারে, আমি তো এখানে সব সময় আসি না।’
ওয়াসা বলছে, নানা সময়ে নানা অযুহাত দেখিয়ে বিল বাকি রেখেছে সাহেদ। ওয়াসা পরিদর্শক মো: আনোয়ার হোসেন ফরহাদ,’তিন মাস পর্যন্ত জরিমানা থাকে তারপর আমরা তাগাদা দেই। সে আমাদেরকে বলে এটা হাসপাতাল, পনি না পেলে অসুবিধা। এমন বিভিন্ন কথা বলতো।’