সম্প্রীতি মাহমুদ »

প্রথমবারের মতো সমুদ্রগামী জাহাজের জ্বালানি আমদানি করতে গিয়েও মানা হচ্ছে না নীতিমালা ও শর্ত।

জানা গেছে, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা ও মার্কেন্টাইল মেরিন শর্ত না মেনে জ্বালানি সরবরাহের জন্য অনভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।ফলে শুরুতেই হোঁচট খাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সম্ভাবনাময় বাঙ্কারিং খাত।

পরিবেশ বিপযর্য় এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখে এবারই সমুদ্রগামী জাহাজে অতিসামান্য মাত্রার সালফারযুক্ত হেভি ফার্নেস অয়েল ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অরগানাইজেশন।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন- বিপিসি এই প্রথমবারের মতো হেভি ফার্নেস অয়েল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। চলতি সপ্তাহেই জিটুজি চুক্তিতে ১৫ হাজার মেট্রিক টন হেভি ফার্নেস অয়েল আসছে দেশে।

এর মধ্য দিয়ে ২০১৪ সালে তৈরি করা বাঙ্কারিং নীতিমালার আলোকে দেশি-বিদেশি জাহাজে জ্বালানি সরবরাহ শুরু হতে যাচ্ছে।  তবে মাত্র ৯টি প্রতিষ্ঠান আইএমও, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও মার্কেন্টাইল মেরিনের শর্ত পূরণ করতে পেরেছে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ বাঙ্কার অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মিজানুর রহমান মজুমদার বলেন,’আইএমও রেগুলেশন অনুযায়ী এমএমডি নির্দেশনা লাগবে অথবা বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন ছাড়া যদি কেউ বিপিসি’তে নিবন্ধিত হয় তবে এ ব্যবসায়ে বিশৃংঙ্খলা সুষ্টি হতে পারে।’

নীতিমালা অনুসারে ডিলার হতে হলে ৫’শ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার অয়েল ট্যাঙ্কার থাকতে হবে।  তা অমান্য করে সম্প্রতি যমুনা অয়েল বিশেষ বোর্ড মিটিং ডেকে ‘সি-মেরিটাইম সার্ভিসের’ ৫’শ মেট্রিক টনের কম খোঁয়াজ খিজির-২ নামের অয়েল ট্যাঙ্কারকে অনুমোদন দিয়েছে। যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আনচারী বলেন,’যদি ৫শ’ মেট্রিকটনে উন্নিত করতে পারে তবে পাবে নয়তো হবে না। নীতি মালার কোয়ান্টিটি তো ফুলফিল হয়নি।’

বিপিসি’র চেয়ারম্যান জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা ও মার্কেন্টাইল মেরিনের শর্ত অমান্য হয়ে থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কপোরেশন (বিপিসি) চেয়ারম্যান শামসুর রহমান জানান, ‘এমন কিছু যদি হয়ে থাকে যে ৫শ’ মেট্রিকটন নাই তবে সেটা খতিয়ে দেখা হবে। এর মাঝে ভুল হলেও হতে পারে।’

নীতিমালা উপেক্ষা করে অনভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে জাহাজে তেল সরবরাহের দায়িত্ব দেয়া হলে আমদানি করা তেল অন্যদেশে পাচারের সম্ভাবনা রয়েছে।  এতে আইএমও’র সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের নির্দেশনাও বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »