আমিরাত-ইসরায়েল শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে ‘৭২ সালের ইসরায়েল বয়কট আইন রহিত করেছে আমিরাত। আজ শনিবার ইসরায়েলের সঙ্গে আমিরাতের শান্তি চুক্তির পর উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে বয়কট আইন বাতিল করেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ খালিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। আরিমরাতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ডব্লিওএএম এ খবর নিশ্চিত করে। আমিরাত সরকারের ফেডারেল ডিক্রির ৪ নং ধারা জারি করে ১৯৭২ সালের ইসরায়েল বয়কটের ১৫ নং ধারাটি সংশোধন করা হয়।
ইসরায়েল বয়কটের ধারা বাতিলের মাধ্যমে এখন থেকে ইসরায়েল ও আমিরাতের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আর কোনো বাধা থাকবে না। ইসরায়েলের যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমিরাতের যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আর্থিক লেনদেন ও বাণিজ্য চুক্তি করতে পারবে। তাছাড়া ইসরায়েলের সব রকম পণ্য আমিরাতে সরবরাহ করা যাবে।
আরিমরাতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্ট শেখ খালিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ২০২০ সালের ফেডারেল ডিক্রির ৪ নং ধারা জারি করে ১৯৭২ সালের ইসরায়েল বয়কট আইন ১৫ নং ধারা বাতিল করেন।’
খবরে আরো বলা হয়, ইসরায়েলের সঙ্গে আমিরাতের কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধিসহ প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে উভয় দেশের মধ্যে পারষ্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট আমেরিকার সহযোগিতায় আমিরাত ও ইসরায়েলের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরি হয়। আগামী ৩১ আগস্ট থেকে প্রথম বারের মতো আবুধাবি ও তেলআবিবের মধ্যে বিমানের বাণিজ্যিক ফ্লাইট শুরু হবে। তেলআবিবের বেনগুরিয়ান বিমানবন্দর থেকে আসা প্রথম ফ্লাইটে ইসরায়েল ও আমেরিকার রাজনৈতিক নেতৃবন্দের সঙ্গে থাকবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্ঠা ও জামাতা জ্যারেদ কুশনার।
সূত্র : ডব্লিওএএম