বয়কটের কারণে নেতিয়ে পড়া ক্যারিয়ার সোজা করতে কি করা যায় তা নিয়ে কিছুটা চিন্তিত আছেন ঢাকার চলচ্চিত্রের বিশিষ্ট খল-নায়ক ও সুঅভিনেতা মিশা সওদাগর। প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরুর বক্তব্য অনুসারে তিনি ইতোমধ্যে দুটি ছবি থেকে বাদ পড়েছেন। ছবিগুলোর কাজও শুরু হয়ে গেছে। প্রশ্ন উঠছে মিশার বিকল্প বা মিশার অভাব কাদের দিয়ে পূরণ হতে পারে? এ পর্যায়ে সামনে চলে এসেছে তিনটি নাম।
তারা হলেন শতাব্দী ওয়াদুদ, আনিসুর রহমান মিলন ও অমিত হাসান। পরিচালক এফআই মানিক বলেন, তিনজনই গুণী শিল্পী। অমিত হাসান তো চলচ্চিত্র থেকেই গড়ে ওঠেছে। তাকে দিয়ে অনায়াসে সব ধরনের চরিত্রে অভিনয় করানো সম্ভব। শতাব্দী এবং মিলনও গড়ে ওঠেছেন গোড়া থেকে। তাদের শিরা-উপশিরায় প্রবাহিত হচ্ছে অভিনয়ের রক্ত।
পরিচালক এফআই মানিকের এই মূল্যায়নকে কাজে লাগাতে যদি নির্মাতারা এগিয়ে আসেন তাহলে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও মিশা সওদাগর আড়ালে চলে যাবেন। মিশা সওতদাগরের চলচ্চিত্রে একটা ক্যারিয়ার আছে। শিল্পী সমিতির সভাপতি থাকার জন্য ক্যারিয়ারহীনদের পাশাপাশি তিনিও কী ক্যারিয়ার থেকে সরে যাবেন? মিশা সওদাগর অনেকটাই শানানো বুদ্ধির মানুষ। তিনি ইতোমধ্যে কাছের মানুষদের সঙ্গে পরামর্শের জন্য আলাপ-আলোচনা শুরু করেছেন।
শোনা যাচ্ছে, শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটি ভেঙ্গে যেতে পারে। যদি শেষ পর্যন্ত ক্যারিয়ারের স্বার্থে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদত্যাগ করেন তাহলে কমিটি এমনিতেই দূর্বল হয়ে পড়বে। সমিতির গঠনতন্ত্র অনুসারে, মিশা চাইলে কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে আহবায়ক কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন দিতে পারেন। আবার তিনি চাইলে ক্যারিয়ারের স্বার্থে কমিটি থেকে নিজেও সরে যেতে পারেন।
তাতে ডিপজল চলে আসবেন শিল্পী সমিতির নেতৃত্বে। তবে শনিবার ১৮ সংগঠনের বৈঠকে মিশা সওদাগর বলেছেন, তিনি আন্তঃসংগঠনগুলো প্রণীত নীতিমালা মানেন এবং সেটা মেনেই বীর ছবির শুটিং করেছেন। শাকিব খান ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি শুটিংয়ে যাতায়াতের জন্য কোনো অর্থ নেবেন না। তার সঙ্গে যারা থাকেন তাদের খরচও তিনিই বহন করবেন। এভাবে চললে প্রতি ছবিতে প্রযোজকের ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা সাশ্রয় হবে বলে জানিয়েছেন খোরশেদ আলম খসরু।