আমীর হোসেন »

Dating App

দেশে প্রতিদিন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত আড়াই থেকে তিন হাজার রোগী শনাক্ত হচ্ছে। আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে না। হাসপাতালে থেকে চিকিৎসাসেবা নিতে তাদের আগ্রহ কম। এ কারণে হাসপাতালের ৭২ শতাংশ শয্যা খালি পড়ে আছে। অনেক রোগী হাসপাতালে না গিয়ে বাড়িতে চিকিৎসাধীন মারাও যাচ্ছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ২ হাজার ৫৯৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৪৮ জন। বাকি ২ হাজার ১০৭ জন রোগী বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শতকরা হিসাবে আক্রান্তদের মধ্যে ১৭ দশমিক ২৭ শতাংশ ভর্তি আর ৮২ দশমিক ৭৩ শতাংশ রোগী বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া দরকার এমন অনেক রোগীই হাসপাতালে ভর্তি হতে চাচ্ছেন না। বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। বাড়িতে চিকিৎসা নিতে গিয়ে অনেকেই অক্সিজেন সিলিন্ডার ও করোনায় ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের ওষুধ নিজ সংগ্রহে রাখছেন। এতে সঠিক চিকিৎসা সেবার অভাবে অনেকে মারা যাচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৩৭ জন। এর মধ্যে ৬ জনই বাড়িতে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার অভাব, চিকিৎসা প্রদানে স্বাস্থ্যকর্মীদের আন্তরিকতা না থাকা, খাদ্য সরবরাহে অবহেলা ও রোগীর সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাৎ না হওয়ার কারণে জটিল রোগীদের অনেকে হাসপাতালে যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে ঢাকা মহানগরের ২১টি হাসপাতালে সাত হাজার ৩৭টি শয্যাসহ সারাদেশে ১৫ হাজার ২৫৫টি সাধারণ এবং ৫৪৪টি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) শয্যা রয়েছে। এসব শয্যার মধ্যে সাধারণ শয্যায় রোগী ভর্তি আছে ৪ হাজার ৩০১ জন। বাকি ১০ হাজার ৯৫৪টি শয্যা খালি পড়ে আছে।

এ ছাড়া ৫৪৪টি আইসিইউ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি আছে ৩২৪ জন। বাকি ২২০টি শয্যা খালি পড়ে আছে। শতকরা হিসাবে সাধারণ শয্যার ৭১ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং আইসিইউ শয্যার ৪০ দশমিক ৪৪ শতাংশ খালি পড়ে আছে।

চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি থেকে করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্তকরণ কার্যক্রম শুরু করে সরকারের রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, দেশে প্রথম তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ।

করোনার সংক্রমণ প্রথমে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও মাদারীপুরে হয়ে থাকলে এটি ধীরে ধীরে বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময়ে করোনায় আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি ও একটি শয্যার জন্য অনেক চেষ্টা তদবির করা হতো। কিন্তু এখন সেই আগের অবস্থা নেই। প্রায় ৫ মাসের ব্যবধানে করোনার উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও অনেকে পরীক্ষা করাতে চান না। আবার যারা পরীক্ষা করান তাদের মধ্যে যাদের করোনা পজিটিভ হয় তারাও হাসপাতালে যেতে চান না।

Dating App
শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »