ইয়াসমিন লিপি »

বুধবার (১২ আগস্ট) বেলা ১১টায় টেকনাফ উপজেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারহার আদালত-৩ এ তাদের বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। চ্যানেল২৪ ও ডিবিসি টিভি

এর আগে মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) তাদের ১০ দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানায় র‌্যাব। রিমান্ডে নেয়া চার পুলিশ সদস্য হলেন- এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন। এছাড়া, বাকি তিনজন হলেন: পুলিশের দায়ের করা হত্যা মামলার সাক্ষী নূরুল আমীন, নিজাম উদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াছ। গতকাল মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) কক্সবাজারের বাহারছড়া এলাকা থেকে সিনহা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

অন্যদিকে সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও উপ-পরিদর্শক নন্দদুলাল রক্ষিতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে রিমান্ডে নেয়ার কথা থাকলেও আজও তাদের নেয়া হয়নি।

গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় হত্যা ও মাদক আইনে এবং রামু থানায় মাদক আইনে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করে। এ মামলায় নিহত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের সঙ্গে থাকা শাহেদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা রানী দেব নাথকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ইন্সপেক্টর লিয়াকত, ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ৬ আগস্ট বরখাস্ত ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতসহ ৭ আসামি কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

 

 

শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »