করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে অফিসে মাত্র ২৫ শতাংশ কর্মচারীর উপস্থিতির সুযোগ দেওয়া হলেও তা তুলে নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্তই অফিস করতে হবে। তবে বয়স্ক, অসুস্থ এবং অন্তঃসত্ত্বারা এ নির্দেনার বাইরে থাকবেন। কোভিড-১৯ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এ বিষয়ে মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। জনপ্রশাসন
মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব আমাদের সময়কে বলেন, ওই নির্দেশনা পেয়ে অনেক মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে তা মৌখিকভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জানিয়ে দিয়েছে। গত সোমবার থেকেই বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের শতভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী সার্বক্ষণিক অফিস করছেন।
অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোতেও সবাই একসঙ্গে অফিস করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে তারা নির্দেশনা দিয়েছেন। সব কর্মকর্তা-কর্মচারী আগের নিয়মেই অফিস করবেন। তবে সবাইকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুর দিকে গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। টানা ৬৬ দিনের লকডাউন ওঠার পর গত ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে অফিস খোলার পাশাপাশি গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়। ওই সময় মৌখিক নির্দেশনায় সরকারি দপ্তরগুলোতে একসঙ্গে ২৫ শতাংশের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অফিসে অবস্থান করতে নিষেধ করা হয়েছিল।
জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, সব কর্মকর্তাকে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অফিস করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মৌখিকভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তাকে সেই নির্দেশনা মৌখিকভাবে জানিয়ে দিয়েছি, সব অফিসারকে অফিসে থাকতে বলেছি।
তিনি আরও বলেন, এখন অফিসারদের প্রতি নির্দেশনা হলো তারা ৯টা-৫টা অফিস করবেন। ৫টার পরও যদি অফিসারদের থাকতে হয়, থাকবেন। তবে বৃদ্ধ, অন্তঃসত্ত্বা ও অসুস্থদের বেলায় এটি প্রযোজ্য নয়। পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব রেজাউল আহসান বলেন, নির্দেশনা পাওয়ার পর আমরা সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অফিস করতে বলেছি। আমরা অফিসকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি।