ভারতের হায়দরাবাদের বাসিন্দা মহম্মদ নুরুদ্দিন। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় যেমন এক বুক হাহাকার নিয়ে লিখেছিলেন ’৩৩ বছর কাটল, কেউ কথা রাখেনি’, তেমনই ৩৩ বছর ধরে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন নুরুদ্দিন। এত দিনে পাস করতে না পারলেও এবার পাস করেছেন করোনাভাইরাসের জোরে।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই ’র বরাত দিয়ে জিনিউজ জানায়, ৫১ বছর বয়সী নুরুদ্দিন ১৯৮৭ সাল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে আসছেন। ইংরেজিতে কাঁচা হওয়ায় এ দীর্ঘদিন ধরে তিনি ফেল করে আসছেন। অবশেষে করোনাভাইরাসের কারণে তিনি এবার পাস করতে পারলেন।
নুরুদ্দিন বলেন, ‘১৯৮৭ সাল থেকে টানা মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছি। আমি ইংরেজিতে খুব কাঁচা। তাই এত বছর ধরেও পাস করতে পারছিলাম না। এবার করোনা বাঁচিয়ে দিলো, আমি এবার পাস করেছি। আসলে সরকার এবার পরীক্ষায় ছাড় দিয়েছে। জানানো হয়েছিল- এবার এই পরিস্থিতিতে সবাইকে পাস করিয়ে দেওয়া হবে, তাই আমিও এই সুযোগে পাস করে গেলাম।’
দীর্ঘদিন পরীক্ষা দিয়ে আসায় অনেকে অনেক কথা বলতেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাকে অনেকে অনেক কথা বলেছে। তবে আমি ঠিক করেছিলাম পাস করেই ছাড়ব। না হলে লোকে আমাকে মাধ্যমিক ফেল বলত।’
করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের অনেক দেশের মতো ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাও এলোমেলা হয়ে গেছে। দেশটির সব রাজ্যের বোর্ডের পরীক্ষাতেই এই পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে। পরীক্ষা যেমন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল তেমনই ফলাফল বের হতেও দেরি হয়েছে। অনেক রাজ্যেই বোর্ড পরীক্ষা বাতিল করতেও বাধ্য হয়েছে। ফলে প্রশাসন এবার সব ছাত্রছাত্রীকেই পাস করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আর এমন অবস্থায় অনেকেরই লাভ হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন হায়দরাবাদের নুরুদ্দিন।