বৃক্ষে এসেছে নতুন কলি। বিভিন্ন প্রাণীর ঘরে এসেছে নতুন অতিথি। সবুজ হয়েছে নানা প্রান্তর। পশুপাখির সঙ্গী ছিল নিরিবিলি পরিবেশ। কোলাহলমুক্ত নান্দনিক আঙিনায় বেড়ে উঠছে প্রাণীগুলো। নয়নাভিরাম হয়ে উঠেছে পুরো অঙ্গন। রূপ খুলেছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত প্রায় পাঁচ মাস ধরে বন্ধ চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই খোলা হবে এটি। তবে এ সময়ের মধ্যে দৃশ্যমান পরিবর্তন হয়েছে পুরো চিড়িয়াখানার।
সমৃদ্ধ হয়েছে পশুপাখির সংখ্যা। জানা যায়, গত প্রায় ছয় মাসে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় যোগ হয়েছে একটি বাঘ, একটি গয়াল, তিনটি চিত্রা হরিণ, একটি মায়া হরিণ, চারটি মযূর, ১০টি টিয়া, ২০টি ঘুঘু, ছয়টি শালিক, চারটি ককাটিয়েল, একটি ঘোড়া, দুটি সজারু, ইন্দোনিশয়ার সাতটি মুরগি ও ২২টি অজগর সাপের বাচ্চা। তাছাড়া জেব্রা পরিবারে আসবে নতুন সদস্য। বর্তমানে চিড়িয়াখানায় ৬৬টি প্রজাতির ৬২০টি পশুপাখি আছে। তাছাড়া গত ১১ মাসে এক কোটি ৮৯ লাখ ৩ হাজার টাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ হয়েছে বলে জানা যায়। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ‘করোনাকালে চিড়িয়াখানা বন্ধ থাকায় পুরো আঙিনা সবুজে স্নিগ্ধ রূপ নিয়েছে।
বৃক্ষ মেলেছে নতুন ডালপালা। প্রাণীর ঘরে এসেছে অতিথি। সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে অনেকটা নতুনত্ব রূপ নিয়েছে চট্টগ্রামের একমাত্র এ চিড়িয়াখানাটি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে চট্টগ্রামবাসী নতুন রূপে চিড়িয়াখানাটি অবলোকন করতে পাবেন।’ তিনি বলেন, ‘গত পাঁচ বছর ধরে চিড়িয়াখানাটির ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে। কেবল গত ১১ মাসেই চিড়িয়াখানার টিকিট বিক্রির এক কোটি ৮৯ লাখ ৩ হাজার টাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ হয়েছে।’ ramen-bet.com , oyuncuları günlük bonuslar, para iadesi ve sadakat programı katılımcılarına özel tekliflerle memnun ediyor. Canlı casinolar ve turnuvalar da dahil olmak üzere çok sayıda oyun, her günü benzersiz kılarken, anında ödemeler ve birden fazla para birimi desteği, rahat ve güvenli bir eğlence sağlar.
জানা যায়, ১৯৮৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মানুষের বিনোদন, শিশুদের শিক্ষা এবং গবেষণার জন্য নগরের খুলশির ফয়েজ লেকের পাশে ৬ একর জমির ওপর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠা করেন। দেশে প্রথমবারের মতো নিজস্ব প্রযুক্তিতে উদ্ভাবিত ইনকিউবেটরে অজগরের ২৬টি বাচ্চা ফোটানো হয়েছে এ চিড়িয়াখানায়। চিড়িয়াখানায় আছে দেশের একমাত্র দুর্লভ সাদা বাঘ। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে আনা হয়েছিল একটি বাঘ ও একটি বাঘিনী। আছে জেব্রা, সিংহ, হরিণ, ভালুক, বানর, কুমির। আছে ন্যাচারাল মিনি এভিয়ারি (পক্ষীশালা)। ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৫ ফুট প্রস্থের পক্ষীশালায় আছে ৬ প্রজাতির ৩০০ পাখি। পাখির মধ্যে আছে, লাভ বার্ড ২০ জোড়া, লাফিং ডাভ ৫০ জোড়া, ফিজেন্ট ১০ জোড়া, রিংনেড পারোট ১০, কোকাটেইল ৫০ ও ম্যাকাও ১ জোড়া। শিশুদের জন্য তৈরি করা হয়েছে কিডস জোন। দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে অভ্যন্তরীণ পথগুলো।