মোহাম্মদ কামরুজ্জামান »

কাঁঠালের মতোই এর বিচিও পুষ্টিগুণে ভরপুর। এর রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা- পুষ্টি উপাদান: এতে রয়েছে রিবোফ্ল্যাবিন ও থায়ামাইন, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও আঁশ। এ ছাড়া রয়েছে ভিটামিন বি, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াস, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন ও কপার।

কাঁঠাল বিচির উপকারিতা:

১. বলিরেখা দূর করতে কাঁঠালের বিচি বেশ কার্যকরী। এজন্য একটি বীজ কোল্ড ক্রিমের সঙ্গে পিষে পেস্ট তৈরি করতে হবে। এরপর এটি নিয়মিত ত্বকে লাগাতে হবে। কাঁঠালের বীজ আপনার ত্বককে করে তুলবে সজীব ও তরতাজা।

২. কাঁঠালের বিচিতে প্রোটিন ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টসে ভরপুর। যা মানসিক চাপ কমাতে বিশেষ কার্যকরী। কাঁঠালের বিচি ত্বকের বিভিন্ন রোগ সারাতে সাহায্য করে থাকে।

৩. নিয়মিত কাঁঠালের বিচি খেলে শরীরে আয়রনের মাত্রা বাড়ে। কাঁঠালের বিচি আয়রনের ভালো উৎস যা হিমোগ্লোবিনের একটি উপাদান। এটি অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতাও দূর হবে।

৪. কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এটি রাতকানা রোগ কাটাতেও সাহায্য করে। শুধু চোখ নয়, চুলের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে ভিটামিন এ। চুলের আগা ফেটে যাওয়া রোধ করে এই ভিটামিন।

৫. কাঁঠালের বিচি হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষ করে বদহজম রোধে এটি বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কাঁঠালের বিচি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে আসে।

৬. কাঁঠালের বিচিতে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন রয়েছে যা পেশি গঠনে সহায়তা করে। এতে কোলেস্টেরল নেই বললেই চলে।

শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »