ইয়াসমিন লিপি »

Dating App

চলে গেলেন কথাসাহিত্যিক মকবুলা মনজুর (ইন্নালিলাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ শুক্রবার (৩ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মকবুলা মনজুর দীর্থদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি দুই মেয়ে ও দুই ছেলেসহ বহু স্বজন-অনুরাগী রেখে গেছেন।

তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ লেখিকা সংঘের সভাপতি দিলারা মেসবাহ। তিনি বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। শুক্রবার উত্তরায় নিজ বাসভবনেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

তিনি আরো বলেন, মকবুলা মনজুর আজীবন লড়াই করে গেছেন। কিন্তু কখনও নিজের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। লেখিকা সংঘের সব আয়োজনে তিনি অসুস্থ শরীর নিয়েই ছুটে আসতেন। সাহিত্যের প্রতি তার অনুরাগ এমনই ছিলো।

মকবুলা মনজুরের জন্ম ১৯৩৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার মুগবেলাইয়ে। তার বাবার নাম মিজানুর রহমান ও মায়ের নাম মাহমুদা খাতুন। বাবা মিজানুর রহমান লেখালেখি করতেন। তারা সাত ভাই-বোন।কিশোরী বয়সে তিনি নাটকে অভিনয় করতেন।

মকবুলার সাহিত্য চর্চা শুরু হয় আট বছর থেকে। তখন তিনি ছড়া লিখতেন। ১৮ বছর থেকে তিনি গদ্য সাহিত্যে অনুরাগী হন। তিনি স্বাধীনতা-উত্তর বাংলা সাহিত্যে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, যুদ্ধোত্তর পরিস্থিতি, সামাজিক ও রাজনৈতিক সঙ্কট, নারীবাদী চেতনা নিয়ে তার কলম ধরেন। তিনি তার কালের মন্দিরা উপন্যাসে মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ওপর অত্যাচারের কাহিনী তুলে ধরেন।

মকবুলা মনজুর রচিত উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে- কালের মন্দিরা, আর এক জীবন, অবসন্ন গান, আত্মজা ও আমরা, প্রেম এক সোনালী নদী, বাউল বাতাস, ছায়াপথে দেখা, সায়াহ্ন যূথিকা, নক্ষত্রের তলে।

সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার, জাতীয় আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার শ্রেষ্ঠগ্রন্থ পুরস্কার, বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ পুরস্কারসহ বহু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।

Dating App
শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »