আমীর হোসেন »

Dating App

যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের প্রতিষেধকটি ব্রাজিলে স্বেচ্ছাসেবীদের শরীরে প্রয়োগ শুরু হয়েছে। ল্যাটিন আমেরিকায় দেশটিতে প্রথম ধাপে তালিকাভুক্ত ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর ওপর ভ্যাকসিনটি প্রয়োগে করা হচ্ছে।
সাও পাওলো, রিও ডি জেনেইরো এবং ব্রাজিলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি এলাকায় এই ট্রায়াল হবে। খবর ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড নিউজ অ্যান্ড ইভেন্ট এবং অক্সফোর্ড মেইলের।

সংক্রমণজনিত রোগ নিয়ে গবেষণা এবং টিকা তৈরির জন্য যুক্তরাজ্যের সরকার ও কয়েকটি দাতব্য সংস্থার অর্থায়নে ২০০৫ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে তোলা জেনার ইনস্টিটিউট। এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান বিজ্ঞানী ড. সারাহ গিলবার্টের নেতৃত্বেই তিন মাসের কম সময়ে করোনাভাইরাসের এ ভ্যাকসিনটি তৈরি করা হয়। গত ২৩শে এপ্রিল অক্সফোর্ডের দু’জন স্বেচ্ছাসেবী বিজ্ঞানীর শরীরে প্রথম করোনার এ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়।

যুক্তরাজ্যে ইতিমধ্যে ৪ হাজারের বেশি অংশগ্রহণকারীকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য নামভুক্ত করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত ১০ হাজারের অংশগ্রহণকারীকে তালিকাভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

ব্রাজিলিয়ান হেলথ রেগুলেটরি এজেন্সি (এএনভিএসএ) গত ২রা জুন দেশটিতে এ ভ্য্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দেয়, যা অ্যাস্ট্রাজেনিকার অংশীদারিত্বে পরিচালিত হচ্ছে। এর পুরোটা স্পন্সর করছেন ব্রাজিলের উদ্যোক্তারা।

২৭শে জুন ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে একটি চুক্তি সই করেছে, এর আওতায় দেশটিতে স্থানীয়ভাবে ভ্যাকসিনটি উৎপাদিত হবে। ফেডারেল বিশ্ববিদ্যালয় অব সাও পাওলো (ইউএনআইএফইএসপি) ভ্যাকটিনটি ব্রাজিলের ট্রায়ালের ক্ষেত্রে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপকে সহযোগিতা করছে।

এই ভ্যাকসিন তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘সিএইচএডিওএক্সওয়ান’ ভাইরাস যা মূলত শিম্পাঞ্জিকে সংক্রমিত করে। এটি সাধারণ সর্দিকাশির দুর্বল ভাইরাস (অ্যাডেনোভাইরাস) হিসেবে পরিচিত। গবেষকরা এর জিনগত পরিবর্তন করেছেন, যাতে মানুষের ক্ষতি না করে।

Dating App
শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »