ইয়াসমিন লিপি »

করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে অনেকেই সবরকম সর্তকতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করছেন। লকডাউন শেষে অনেক এলাকাতেই খুলেছে অফিস, দোকানপাট, শপিংমল। মানুষ যোগ দিয়েছে তাদের কর্মক্ষেত্রে। তবে এসবের মাঝে নিজেদের আরও সুরক্ষিত রাখতে অনেকেই এখন কেনাকাটা সারছেন অনলাইনে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে শুরু করে ওষুধপত্র অর্ডার করছেন সেখানে।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে অনলাইন অর্ডার গ্রহণ করা এবং প্যাকেট খোলার ক্ষেত্রে কিছু বাড়তি সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। সেই সঙ্গে মেনে চলতে হবে সঠিক স্বাস্থ্যবিধি। অনলাইনে জিনিসপত্র অর্ডার করলে যেসব নিয়ম নেমে চলবেন-

১. অনলাইন অর্ডারের ক্ষেত্রে পেমেন্টটা অনলাইনেই করার চেষ্টা করুন। ক্যাশ পেমেন্ট থেকে বিরত থাকুন। কারণ, গবেষণায় দেখা গেছে, টাকার মাধ্যমেও ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তাই টাকা লেনদেন এড়ানোই ভালো।

২. যদি অনলাইন পেমেন্টের কোনও সুবিধা না থাকে, তবে টাকা দেওয়া ও নেওয়ার আগে স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। ফেরত নেওয়া টাকা ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ঢাকনাযুক্ত পাত্রে রেখে দিন । পারলে সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে কড়া রোদে শুকিয়ে নিন। এক্ষেত্রে চেষ্টা করুন যত টাকার জিনিস কিনেছেন ঠিক তত টাকাই দিতে, যাতে ফেরত নিতে না হয়।

৩. বাড়ির গেটের বাইরে নির্দিষ্ট একটি জায়গা করুন, যেখানে ডেলিভারি বয় পার্সেলটি রেখে যেতে পারবেন। তবে এটি আপনার বাড়ির এমন একটি জায়গায় করুন যেখানে সহজে কেউ স্পর্শ করতে না পারে।

৪. পার্সেলটি সঙ্গে সঙ্গে না খুলে, ৪৮ ঘন্টার পর খোলার চেষ্টা করুন।

৫. যদি দরকারি জিনিস থাকে বা আপনি এটি খোলার জন্য অপেক্ষা করতে না পারেন, তাহলে প্যাকেটে ভালো করে স্যানিটাইজার স্প্রে করুন। স্প্রে করার পর দু’ঘণ্টা পর্যন্ত প্যাকেটটা স্পর্শ করবেন না। দু ঘন্টা পর হাতে স্যানিটাইজার মেখে তারপর ভেতর থেকে পার্সেলটি বার করুন।

৬. পার্সেলটি বাড়ির এমন জায়গায় রাখুন, যেন কোনও বাচ্চা এবং বয়স্করা স্পর্শ না করেন।

৭. যদি সবজি অর্ডার করেন, তাহলে সবজিগুলি ভালো করে পানিতে ধুয়ে নেবেন। তারপর নিজের হাত ভালো করে সাবান দিয়ে ধোবেন।

৮. পার্সেলে হাত দেওয়ার পরেই সঙ্গে সঙ্গে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেবেন। মনে রাখবেন, পার্সেলে হাত দেওয়ার পর সেই হাত না ধোওয়া পর্যন্ত কোনওভাবেই শরীরের কোন স্থানে বিশেষ করে চোখে, মুখে এবং নাকে স্পর্শ করবেন না। সূত্র: বোল্ড স্কাই

শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »