রংপুরের হারাগাছে গ্রাহকদের দশ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বিআরডিএস নামে একটি সংস্থার বিরুদ্ধে। সঞ্চয়ের টাকা না দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন ওই সংস্থার তিন পরিচালক। এতে দিশেহারা সংস্থাটির সাড়ে পাঁচ হাজার স্বল্প আয়ের গ্রাহক। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
রংপুরের হারাগাছ থানার উদয় নারায়ণ মাছহাড়ী গ্রামের বাসিন্দা মমেনা ও ফেনসি বেগম। সহায় সম্বলহীন এই দুই নারী কাজ করেন অন্যের বাড়িতে। এককালীন সঞ্চয়ের আশায় সপ্তাহে তারা পঞ্চাশ টাকা করে জমা দিতেন বানুপাড়া রুরাল ডেভলপমেন্ট সংস্থা -বিআরডিএস এ। কিন্তু সঞ্চয়ের টাকা পাওয়ার আগেই হলেন প্রতারণার শিকার।
শুধু তারাই নন, প্রতারণার শিকার হয়েছেন চারুভদ্র, ধুমেরকুটি, বানুপাড়াসহ তেরোটি গ্রামের সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ। পাঁচ বছর মেয়াদে সাপ্তাহিক কিস্তিতে বিশ হাজার থেকে সত্তর হাজার টাকা জমা রেখেছিলেন তারা।
হঠাৎ করেই গ্রাহকদের সঞ্চয়ের প্রায় দশকোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা সমিতির তিন পরিচালক তাজুল মিয়া, আশরাফুল ও ফরহাদ মিয়া। এরই মধ্যে খুলে ফেলা হয়েছে সংস্থাটির সাইনবোর্ডও। সঞ্চয়ের শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে দিশেহারা স্বপ্ল আয়ের শতশত মানুষ।
এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রংপুর মেট্রোপলিটনের হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, এই বিষয়ে এখন প্রাথমিক তদন্ত করা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের কারণে আমরা কারো সঙ্গে দেখাও করতে পারছি না, কাউকে জিজ্ঞাসাবাদও করতে পারছি না।