বার্তাবাংলা ডেস্ক »

মধ্য-ইউরোপের ছোট্ট দেশ হাঙ্গেরি। জনসংখ্যা এক কোটিরও কম। গত বছরের জুলাইয়ের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী হাঙ্গেরিতে জনসংখ্যা ৯.৭৭ মিলিয়ন বা ৯৭ লাখের কিছু বেশি। জীবনযাপনের ব্যয় কম হওয়ায় আন্তর্জাতিক অনেক শিক্ষার্থীর কাছেই পছন্দের দেশ হাঙ্গেরি।

উচ্চশিক্ষা নিতে বাংলাদেশ থেকেও শিক্ষার্থীরা যাচ্ছেন দেশটিতে। কেউ কেউ স্কলারশিপ নিয়ে আবার কেউ কেউ নিজস্ব অর্থায়নেই পড়তে যাচ্ছেন হাঙ্গেরিতে।

হাঙ্গেরির রাজধানী বুডাপেস্ট থেকে কিছুটা দূরে থাকেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী জেরিন ফাতেমা। সেখানে তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর্স করছেন বিজনেস ইনফরমেটিক্সে।

হাঙ্গেরিতে পড়াশোনা করতে গেলে কী কী ধরনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন করতে হবে কিংবা পড়াশোনার খরচ কেমন, সে বিষয়ে জানতে চাইলে জেরিন ফাতেমা বলেন, হাঙ্গেরিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই টিউশন ফি লাগে তবে চেষ্টা করলে স্কলারশিপ নিয়েও পড়াশোনা করা যায়।

জেরিন বলেন, জীবনযাপনের খরচ ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম হওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক প্রচুর শিক্ষার্থী হাঙ্গেরিতে পড়াশোনা করতে আসছে। চাইলে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও পড়তে আসতে পারে। বছরে সাধারণত ৫০০০-৬০০০ ইউরো খরচ হয় টিউশন ফি’র জন্য।

eGal নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিস্তারিত জানিয়েছেন জেরিন ফাতেমা। নিচের ভিডিও থেকে দেখে নিতে পারেন হাঙ্গেরিতে অধ্যয়ন, বসবাস, চাকরিবাকরি ইত্যাদির সার্বিক তথ্যাবলি…

ইউরোস্ট্যাটের হিসাব অনুযায়ী, হাঙ্গেরিতে বর্তমানে ন্যূনতম বেতন ৪৬৪ ইউরোর মতো। তবে ফুলটাইম সাধারণ জবের ক্ষেত্রে মোটামুটি ৬০০ ইউরোর মতো বেতন পাওয়া যায়। আর সাধাসিদা জীবনযাপন করলে সাধারণত ৩০০ ইউরো দিয়েই সারামাসের সব খরচ হয়ে যায়।

পার্টটাইম জব করেও শিক্ষার্থীরা তাদের ব্যয় নির্বাহ করতে পারে। তবে চাকরি করে টিউশন ফি’র খরচ ওঠানো বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। অবশ্য স্কলারশিপ পেলে আর কোনো চিন্তাই থাকে না।

হাঙ্গেরির মুদ্রাকে বলা হয় ফরিন্ট (Forint)। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী ১ ইউরোতে প্রায় ৩৩৪ ফরিন্ট হয়। কাজ করে ঘণ্টায় প্রায় ১০০০ থেকে ৩০০০ হাজার ফরিন্ট আয় করা যায়। যা ইউরোর হিসেবে দাঁড়ায় প্রায় তিন থেকে থেকে ১০ ইউরো। অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় ঘণ্টায় প্রায় ৩০০ থেকে ৯৫০ টাকা আয় করা যায় হাঙ্গেরিতে।

শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »